Dhupguri By Election 2023: ধূপগুড়িতে হারা আসন ফিরে পেল TMC, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই পোস্টাল ব্যালটেও
Jalpaiguri News: নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, পোস্টাল ব্যালটের গণনায় বিজেপি আর তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। শেষপর্যন্ত তৃণমূলের প্রার্থী পোস্টাল ব্যালটে ৩৩৯টি ভোট পেয়েছেন।
ধূপগুড়ি: উপনির্বাচনে, বিজেপির হাতে থাকা ধূপগুড়ি ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। ২৮ মাস আগে জেতা আসনে দ্বিতীয় হল বিজেপি। মাত্র ৬.৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে জমানত জব্দ হল কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থীর। ধূপগুড়ির মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee)।
ফল ইতিবাচক। হারা আসনও ফিরে পেল বাংলার শাসকদল। তুল্যমূল্য ব্যবধানে ধূপগুড়ি বিজেপির হাত ছিনিয়ে নিতে পারলেও, কাঁটার মতো বিঁধল পোস্টাল ব্যালটের ফল। নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, পোস্টাল ব্যালটের গণনায় বিজেপি আর তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। শেষপর্যন্ত তৃণমূলের প্রার্থী পোস্টাল ব্যালটে ৩৩৯টি ভোট পেয়েছেন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী পেয়েছেন ২৯৬টি। কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থীর পক্ষে পড়েছে ৫৭টি। অর্থাৎ, পোস্টাল ব্যালট অনুযায়ী, তৃণমূল ও বিজেপির মাত্র ৪৩ ভোটের ব্যবধান।
ধূপগুড়ি বিধানসভায় এই কাঁটার টক্কর দেখে অনেকেই মনে করছেন, পোস্টাল ব্যালটের এই ফল আসলে সরকারি কর্মীদের একাংশের, তৃণমূল পরিচালিত সরকারের প্রতি অনাস্থারই বহিঃপ্রকাশ। নেপথ্যে বকেয়া DA না পাওয়াপঞ্চায়েত ভোটে সরকারি কর্মীদের একাংশের নিরাপত্তাজনিত অসন্তোষ কাজ করছে বলে মনে করছেন অনেকে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ধূপগুড়ির রায় বেরনোর মাত্র একদিন আগেই, মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন একলপ্তে ৪০ হাজার টাকা বাড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে প্রায় আড়াইশো দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সরকারি কর্মীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। ফলে পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে তাঁদের মনোভাবের প্রতিফলন কী হবে, সেটাও কিন্তু একটা বড় প্রশ্ন।
অন্যদিকে এদিন এই জয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি প্রথমে ধূপগুড়ির মানুষকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাঁরা যেভাবে তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন, এবং লোকসভা আসনে এটাতে বিজেপির প্রায় ১৯ হাজারের লিড ছিল এই আসনটায়। এটা ওদের একটা শক্ত ঘাঁটি। এবং ওদের মন্ত্রীরা এক মাস ধরে, বিভিন্ন মন্ত্রী-নেতারা পড়েছিলেন ওখানে। এবং প্রত্যেকটা হোটেল বুকড ছিল, একটা জায়গাও ছিল না, যেখানে কেউ যেতে পারে। তাই, আমি মনে করি উত্তরবঙ্গে বড় জয়। সারা বাংলার জয়।’’
আরও পড়ুন: Bratya Basu: কেন শিক্ষামন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত? একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে শোকজ