Cattle Scam: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কৃপাময়কে CBI জিজ্ঞাসাবাদ
CBI On Kripamoy: অনুব্রত মন্ডলের বেনামি সম্পত্তির খোঁজে কৃপাময়কে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কলকাতা: গরু পাচার মামলায় (Cattle Scam) অনুব্রত ঘনিষ্ঠ টিএমসিপি নেতা কৃপাময় ঘোষকে (TMCP Leader), নিজাম প্যালেসে প্রায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই (CBI)। 'আর কোথায় কোথায় গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত মন্ডলের বেনামি সম্পত্তি?' সিবিআই সূত্রে দাবি, কেষ্টর বেনামি সম্পত্তির খোঁজে কৃপাময়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বয়ান খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে ফের কৃপাময়কে তলব, সিবিআই সূত্রে দাবি। উল্লেখ্য,গরুপাচার মামলায় কলকাতায় আসার পথে কৃপাময়ের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট সারেন অনুব্রত মন্ডল।
প্রসঙ্গত, এবার বাংলা থেকে গরু পাচার মামলা সরল দিল্লিতে। আসানসোলের সিবিআই আদালত থেকে মামলা গেল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। ২০০৫ সালে জারি করা অর্থমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিকে হাতিয়ার করে আবেদন ইডি-র। বিজ্ঞপ্তিতে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ৪৪/১সি ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে পারে ইডি বলে উল্লেখ। আদালতে ইডির পেশ করা তথ্যের ভিত্তিতে সন্তোষপ্রকাশ বিচারকের। তারপরই গরুপাচার মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পাঠানোর নির্দেশ।
প্রসঙ্গত, একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতবছর গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মন্ডল। সেসময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পেয়েছিলেন অনুব্রত মন্ডল। এদিকে একই দলে থেকেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেসময় পাশে পাননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিকে এতদিনে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জল। আর পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেই ভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছিল অনুব্রত গড়ে।
পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে গরুপাচার মামলায় একটি পৃথক চিত্র সামনে এসেছিল। সেসময় একদিকে তখন দোড়গড়ায় ছিল পঞ্চায়েত ভোট। যখন অনুব্রতহীন বীরভূমে জনসংযোগ যাত্রায় ঝড় তুলছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ঠিক তখনই অন্যভাবে দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মন্ডলকে। বেতন (Salary) পাচ্ছেন না কর্মীরা, চাল কলের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য তিহাড় থেকে আসানসোল আদালতে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
আরও পড়ুন,'ইন্ডিয়া বনাম ভারত, BJP-র তৈরি করা বিভ্রান্তি..', ট্যুইট অভিষেকের
অপরদিকে, দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েনের পর দোলপূর্ণিমার দিন দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে। ইডি হেফাজত শেষে তিহাড় জেলে যান বীরভূমের দাপুটে জেলা তৃণমূল সভাপতি। এদিকে গ্রেফতার হন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। তাঁকেও তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। তবে আসানসোল থেকে তিহাড় জেলে যাওয়ার পর, ফের আসানসোলে ফেরার জন্য় দিল্লির আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।