CPIM: ‘পাহারায় পাবলিক’, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা সিপিএমের
সিপিএমের দাবি, যেসব অভিযোগ জমা পড়বে, দলীয় স্তরে তার অনুসন্ধান করা হবে। তারপর দলের ওয়েবসাইটে সেইসব তথ্য ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ্যে আনা হবে।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: ‘পাহারায় পাবলিক’, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা সিপিএমের (CPIM)। ভাদু শেখদের মতো তৃণমূল নেতা (TMC leader), অল্পদিনের মধ্যে যাঁদের প্রভাব প্রতিপত্তি চোখে পড়ার মতো বেড়েছে, তাঁদের চিহ্নিত করে সর্বসমক্ষে আনাই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। দাবি রাজ্যের প্রাক্তন শাসকদলের। এ নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)।
সিপিএমের কর্মসূচি: রামপুরহাটের বগটুইয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে ১০ দিন। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ এবং ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনের বিশাল বাড়ি। প্রভাব প্রতিপত্তি ও অল্প দিনের মধ্যেই ফুলে ফেঁপে ওঠা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গেছে। এই আবহে নতুন কর্মসূচি নিল সিপিএম। যার পোশাকি নাম ‘পাহারায় পাবলিক’।
অভিযোগের পদ্ধতি: সাধারণ মানুষ থেকে দলীয় স্বেচ্ছাসেবকদের গ্রাম পাহারার জন্য আহ্বান জানিয়ে সিপিএমের সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এদিন ফেসবুকে লেখেন, “রাজ্য জুড়ে তৃণমূলী নৈরাজ্যের অবসান ঘটাতে প্রতিটি এলাকায় ভলান্টিয়াররা এগিয়ে আসুন। পশ্চিমবঙ্গের বুকে দ্বিতীয় রামপুরহাট হওয়ার আগে, আপনার অঞ্চলে ভাদু শেখের মতো আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া তৃণমূল নেতাদের চিহ্নিত করতে এই ফর্মটি ফিলাপ করে জমা দিন।‘’ একটি ফর্মও শেয়ার করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। যার মধ্যে কোন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কী অভিযোগ, তাঁর পূর্বের পেশা কী ছিল--এরকমই নানা তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। সিপিএমের তরফে বলা হয়েছে, যিনি অভিযোগ পাঠাবেন, তাঁর নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে।
এবিষয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এত টাকার মালিক হল কী করে? তা আমরা খুঁজে বের করব।‘’ এই কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এবিষয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “৩৪ বছর ধরে ওরা তো জানে কাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।’’ সিপিএমের দাবি, যেসব অভিযোগ জমা পড়বে, দলীয় স্তরে তার অনুসন্ধান করা হবে। তারপর দলের ওয়েবসাইটে সেইসব তথ্য ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ্যে আনা হবে।
আরও পড়ুন: DA Increase: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবি, আন্দোলনের হঁশিয়ারি একাধিক কর্মী সংগঠনের