Cyclone Gulab: ঘূর্ণিঝড়ের আগে দিঘাজুড়ে পুলিশি তৎপরতা, সৈকত ও উপকূলবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারি
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে নামায় সতর্ক করা হচ্ছে পর্যটকদের।
আবীর দত্ত, দিঘা: আজ সন্ধেয় ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের মাঝে কলিঙ্গপত্তনমের কাছে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। ঘূর্ণিঝড়ের আগে দিঘাজুড়ে পুলিশি তৎপরতা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে নামায় সতর্ক করা হচ্ছে পর্যটকদের। সৈকত ও উপকূলবর্তী এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য প্রশাসন। এদিন সাগরের বঙ্কিমনগরে মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ পরিদর্শনে যান সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। ইয়াসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধের একাংশ এখনও মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। ফলে জল বাড়লে ফের এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিদর্শনে গিয়ে আগামীকালের মধ্যে বাঁধ সারাতে সেচ দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। তাঁর আশ্বাস, ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধের বাকি অংশও দ্রুত সারানো হবে।
এর পাশাপাশি, প্রশাসনের তরফে উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। আজ সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে নামখানায় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীতে নৌকায় চড়ে মৎস্যজীবীদের মধ্যে সতর্কতামূলক প্রচার করা হয়। কোনও ট্রলার বা নৌকা যাতে সমুদ্রে যেতে না পারে, তার জন্য কড়া নজর রাখছে পুলিশ ও প্রশাসন।
আজ সন্ধেয় ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের মাঝে কলিঙ্গপত্তনমের কাছে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। এই মুহূর্তে গোপালপুর থেকে ৩০০ কিলোমিটার ও কলিঙ্গপত্তনম থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। রাজ্যে এর সরাসরি প্রভাব না পড়লেও, আজ থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গল ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সময়ে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের আশঙ্কা সবথেকে বেশি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হবে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি প্রবল বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে মাছ ধরার ট্রলার। কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর,পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবা, কুলতলি, ক্যানিং, বাসন্তী-সহ বন্দর এলাকায় পুলিশ, মৎস্য দফতর ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। প্রতিটি পঞ্চায়েতে শুকনো খাবার, জলের পাউচ, ত্রিপল মজুত করা হচ্ছে। সেচ, বিদুৎ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের আধিকারিকদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। কাকদ্বীপে পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফের ২৫ জনের একটি দল। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টার, স্কুল বা পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।