Cyclone Montha Landfall : রাতেই ল্যান্ডফল, তছনছ করল মোন্থা, কাড়ল প্রাণ, এবার ঝড়ের প্রভাব বাংলায়?
প্রবল বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত শহুরে জীবন। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। উত্তাল হয়েছে সাগর। উঠেছে ১০ ফুট উঁচু ঢেউ।

অন্ধ্রপ্রদেশের উপর আছড়ে পড়ল 'সিভিয়ার সাইক্লোন' মোন্থা। সন্ধে ৭ টার পর থেকে শুরু হয় ল্যান্ড ফল প্রসেস। সমুদ্র থেকে প্রবল গতিতে স্থলভাগের দিকে ছুটে আসে প্রবল হাওয়া। সেই সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। পূর্বাভাস অনুসারেই দুর্যোগ চলে ওড়িশা উপকূলেও। প্রচণ্ড ঝড়-জলে প্রাণও যায় মানুষের। তবে সুখবর একটাই, আগে থেকে অনেকটা সতর্ক থাকায় বড় ধাক্কা সামলানো গিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোন্থা মঙ্গলবার রাতেই পূর্ব উপকূলের উপর দিয়ে বয়ে যায়। অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ার কাছে মাছিলিপত্তনম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মাঝামাঝি আঘাত হানে মোন্থা। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস তছনছ করে দেয় সবকিছু। তবে আগে থেকেই উপকূল থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। তবে প্রবল বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত শহুরে জীবন। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। উত্তাল হয়েছে সাগর। উঠেছে ১০ ফুট উঁচু ঢেউ।
ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট নাগাদ প্রচণ্ড গতিতে স্থলভাগে আঘাত হানে। প্রায় ৪ ঘন্টা স্থায়ী হয় ল্যান্ডফল প্রসেস। সব রাস্তায় ভেঙে পড়ে গাছপালা। সড়ক জুড়ে গাছপালা এখনও ভেঙে পড়ে রয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উল্টে গিয়েছে। উদ্ধারকারী দল রাস্তা পরিষ্কারে নেমেছে। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টিতে সে-কাজ করা কঠিন হচ্ছে। মামিদিকুদুরু মণ্ডলের মাকানাপালেম গ্রামে একটি গাছ বাড়ির উপর ভেঙে পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
ওড়িশার সীমান্তের ওপারে, মোন্থার প্রভাবে গঞ্জাম এবং গজপতি জেলায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বাতাস লন্ডভন্ড করেছে শহর-গ্রাম। রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে । ভেঙে পড়েছে গাছপালা । তবে এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিধসের ফলে আর উদয়গিরি, পারলাখেমুন্ডি, হুমা এবং কাশীপুরের কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আইএমডির ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, মোন্থার প্রভাব বুধবার পর্যন্ত স্থায়ী হবে। দক্ষিণ ওড়িশায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে । ছত্তীসগড়ের উপর দিয়ে যেতে যেতে দুর্বল হয়ে পড়বে ঝড়টি। ঝড়টি ভূমির অভ্যন্তরে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় নেমে যেতে পারে। ওড়িশার আবহাওয়া দফতর জানয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে বৃষ্টিপাত কমে আসবে, তবে বৃহস্পতিবারও রাজ্যে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।






















