DA Agitation: কেন্দ্রের গ্রান্ট ইন এইড খাতে দেওয়া টাকা কোথায় যাচ্ছে? প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের
কেন্দ্রের গ্রান্ট ইন এইড খাতে দেওয়া টাকা কি অন্য খাতে খরচ করা হচ্ছে?তাই কি রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে DA-দেওয়া যাচ্ছে না? চাঞ্চল্যকর এই প্রশ্ন তুলল, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
কলকাতা: সরকারি কর্মীদের বেতনের টাকা গ্রান্ট ইন এইড খাতে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে? অন্য খাতে তা খরচ করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুললেন আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মীরা। পাল্টা, তাঁদের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তৃণমূল।
প্রশ্ন তুললেন আন্দোলনকারীরা: কেন্দ্রের গ্রান্ট ইন এইড খাতে দেওয়া টাকা কি অন্য খাতে খরচ করা হচ্ছে? তাই কি রাজ্য সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে DA-দেওয়া যাচ্ছে না? চাঞ্চল্যকর এই প্রশ্ন তুলল, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বকেয়া DA-র দাবিতে, শহিদ মিনারে সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের একাংশের ধর্না-অবস্থান শনিবার ২৩ দিনে পড়ল। লাগাতার আন্দোলন বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে ডিএ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি তো ম্য়াজিশিয়ান নই। যে টাকা দাও বললেই হঠাৎ গুপী গাইন বাঘা বাইনের মতো মিষ্টি চলে এল, টাকা চলে এল। টাকাটা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩% DA আমরা দিয়েছি।’’
২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই বকেয়া DA নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ তুলেছে তারা। পাল্টা তৃণমূল আবার আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “আমাদের কর্মচারীদের বেতন খাতে যে পয়সা আসে, তা কেন্দ্রীয় গ্রান্ট ইন এইড খাতে আসে, সেই গ্রান্ট ইন এইড খাতে প্রাপ্তির দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ স্থানে থাকে। অথচ সেই টাকা যখন কর্মচারীদের দিতে হচ্ছে, তার ক্ষেত্রে তারা সব থেকে শেষ স্থানে থাকছে, কর্মচারীদের জন্য পয়সা কেন্দ্রের কাছ থেকে পাচ্ছে, অথচ সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না, মেরে দিচ্ছে, টাকা জমিয়ে রেখে সুদ খাওয়া হচ্ছে।’’
এবিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “আপনারা ভালো করে জানেন, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলা উচিত, না হলে সবাই বুঝে যাবে কোনও না কোনও রাজনীতিক দলের মতদপুষ্ট হয়ে এটা করা হচ্ছে।’’ এবিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “আন্দোলন হলে ডিএ চাইলে মুখ্যমন্ত্রী বকাবকি করছেন। আরে তাদের হকের পয়সা না দিয়ে দুর্নীতি করবে, আবার টাকা চাইলে ধমক।’’
রাজ্য সরকারের রাজস্ব থেকে প্রাপ্ত অর্থ কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের কর বাবদ পাওয়া টাকা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো গ্র্যান্ট-ইন-এইড খাতে পাঠানো টাকা থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়। এর থেকেই প্রতি বাজেটে সরকারি কর্মীদের বেতন বরাদ্দ হয়। বকেয়া ডিএ নিয়ে, আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি, ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ২ দিনের কর্মবিরতিতে সমর্থন জানিয়েছে ১২ জুলাই কমিটি।