West Bengal: বকেয়া DA-এর দাবিতে সরব, আন্দোলনের প্রভাব পড়ল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও
DA-এর দাবিতে আন্দোলনের প্রভাব পড়ল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভের জেরে, সামনের গেট দিয়ে ঢুকতে পারল না রেজিস্ট্রারের গাড়ি।
কলকাতা: শুধু রাজ্য সরকারি দফতর নয়, DA-এর দাবিতে আন্দোলনের প্রভাব পড়ল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। হুগলি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, একাধিক সকুলে এলেন না, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা বড় অংশ।পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্লাস নিতে দেখা গেল স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যদের।
আন্দোলনের প্রভাব পড়ল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে: শুধু রাজ্য সরকারি দফতর নয়, DA-এর দাবিতে আন্দোলনের প্রভাব পড়ল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের বাইরে বিক্ষোভের জেরে, সামনের গেট দিয়ে ঢুকতে পারল না রেজিস্ট্রারের গাড়ি। ধর্মঘটের জেরে শুক্রবার কার্যত পড়াশোনা শিকেয় উঠেছিল ভবানীপুরের রামরিক ইনস্টিটিউশনে। অন্যদিকে, হুগলি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা স্কুলে এলেন না, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা বড় অংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্লাস নিতে দেখা গেল স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যদের।
হুগলির,পাণ্ডুয়ার বৈঁচি বিহারীলাল মুখার্জি উচ্চ বিদ্যালয় বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আন্দোলনের সমর্থনে এদিন, স্কুলে আসেননি কোনও শিক্ষক ও কর্মচারী। ক্লাস নিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি সুনীল মুখোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, “আমাকে লিখিত দেয়নি কেউ। মৌখিক বলেছে, আমরা ধর্মঘটকে সমর্থন করি। সেইমত স্কুল খোলা। অস্থায়ী শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস নিচ্ছি। মিড ডে মিল চলছে।’’ প্রধান শিক্ষক প্রবীরকুমার বলেন, ধর্মঘটের সমর্থন করে স্কুলের ২৪জন সরকারি শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা কেউ স্কুলে যায়নি। তবে পরিচালন সভাপতি এবং আংশিক সময়ের শিক্ষকরা স্কুলে ক্লাস করিয়েছেন ।মিড ডে মিলও চালু আছে।
পাশাপাশি, সিঙ্গুরের মহামায়া উচ্চ বিদ্য়ালয়ে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে ৪৭ জনের মধ্যে, ৩১ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়ে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৪টি ক্লাস করিয়ে টিফিনে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিসকুমার সিংহ বলেন, “নবম ও দশমের নাম ডেকেই ছুটি দেওয়া হয়েছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম কোনওমতে ক্লাস হয়েছে মিড ডে মিলের জন্য।’’
এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলে, এদিন উপস্থিত ছিলেন না একজন শিক্ষকও। ক্লাস নেন, পরিচালন সমিতির সভাপতি-সহ সদস্যরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি বলেন, “ধর্মঘট আমাদের অধিকার। কোন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী আজ সকুলে আসেননি। পরিচালন কমিটি জোর করে হস্টেল থেকে পড়ুয়াদের নিয়ে এসে ক্লাস করিয়েছেন।’’ স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও যুব তৃণমূল সভাপতি বাপী হালদার বলেন, “পড়াশোনা বন্ধ থাকবে জেনে আমরা আজ ক্লাস নিচ্ছি।''
আরও পড়ুন: HS Exam 2023: আগামী সপ্তাহে শুরু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, মানতেই হবে কোন কোন নিয়ম?