DhaniaKhali News: বেধড়ক মারধরের জেরে হাসপাতালে বিজেপির মণ্ডল সহ সভাপতি, অভিযুক্ত তৃণমূল
TMC-BJP Clash: ভোট মিটলেও কমছে না হিংসার ঘটনা। এবার তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হলেন ধনিয়াখালির এক বিজেপি নেতা। সমীরণ মুর্মু বলে ওই নেতাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
সোমনাথ মিত্র, ধনিয়াখালি: লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরিয়ে গেছে প্রায় এক মাস আগে। তারপরও রাজ্যজুড়ে চলছে ভোট পরবর্তী হিংসার (WB Post Poll Violence) ঘটনা। এর ফলে এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া রয়েছেন বিজেপি (BJP) সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কর্মী ও সমর্থকরা। এই বিষয়ে দায়ের হওয়া মামলার জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিণ ট্যাণ্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। খুব তাড়াতাড়ি ঘরছাড়া বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনাকে রাজ্য প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে আগামী পাঁচ বছর পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে রাখার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। যদিও তারপরেও কমেনি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনা। এবার বিজেপির মণ্ডল সহ সভাপতিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধ। এর জেরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার ধনিয়াখালির কানানদী সংলগ্ন ধানকল মোড় এলাকায়। এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, ধনিয়াখালির কানানদী সংলগ্ন ধানকল মোড় এলাকায় বসেছিলেন বিজেপির মণ্ডল সহ সভাপতি সমীরণ মুর্মু সহ বিজেপির কিছু কর্মী। অভিযোগ ,সেই সময় একদল তৃণমূল নেতা-কর্মী তাঁদের উপর চড়াও হয়। এই ঘটনার জেরে অন্যরা পালিয়ে গেলেও সমীরণ মুর্মুকে একা পেয়ে মারধর করা হয়। অভিযোগ, বাঁশ ও রড দিয়ে মারধর করা হয় ওই বিজেপি নেতাকে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বিজেপি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ধনিয়াখালি থানার পুলিশ। এরপর ওই বিজেপি নেতাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়।
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ জানান, সমীরণ মুর্মু লোকসভা ভোটে নিজের বুথে তৃণমূলকে পরাস্ত করেছেন। তাই তাঁর উপর তৃণমুলের এত ক্ষোভ। তাই সবজি বাজারে তাঁকে একা পেয়ে মারধর করে। ওরা চাইছে ধনিয়াখালিতে কেউ যেন বিজেপির ঝাণ্ডা না ধরে। আগামীদিনে এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।
যদিও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য ধনিয়াখালির বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা কোনও ফোন রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে দু-পক্ষের মধ্যে একটা ঝামেলা হলেও কোনও পক্ষই থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।