(Source: Poll of Polls)
Didir Doot: ক্ষোভের মুখে 'দিদির দূত', কোথাও দলের মধ্যেই ক্ষোভের ছবি
South 24 Parganas: একদিকে ভাঙড়ে তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্বের ছবি, অন্যদিকে হুগলির গোঘাটে ক্ষোভের মুখে নেতা।
রঞ্জিত হালদার ও মোহন দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সব ঠিক থাকলে আর কদিন পরেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে শুরু হয়েছে তৃণমূলের 'দিদির দূত' কর্মসূচি। ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের মধ্যে দ্বন্দ্বের ছবি ধরা পড়ল। আরাবুল ইসলাম ও রেজাউল করিম গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। অন্যদিকে, হুগলির গোঘাটে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল নেতারা। ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ থেকে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। একাধিকবার 'দিদির দূত'-দের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। দিদির সুরক্ষাকবচ এবং দিদির দূত কর্মসূচির প্রথম দিনেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশকে। বৃহস্পতিবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলিতে। 'দিদির দূত' কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল ভাঙড়ে। একইদিনে হুগলির গোঘাটে অনুন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
ভাঙড়ে 'দ্বন্দ্ব':
বৃহস্পতিবার, ভাঙড়ের হাজরা কালীবাড়ি মন্দির থেকে দিদির দূত কর্মসূচির সূচনা করেন ডায়মন্ড হারবার-যাদবপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আরাবুল ইসলামও। এরপর সেখানে হাজির হন বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত ভাঙড়ের চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের অনুগামীরা। আচমকা বচসায় জড়িয়ে যান তাঁরা।
ভাঙড়ের তৃণমূল কর্মী আলাউদ্দিন মোল্লা, শুভাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভাজনের অভিযোগ এনেছেন। রেজাউল করিমের অভিযোগ, কর্মসূচির বিষয়ে তাঁদের কিছুই জানানো হয়নি। ভাঙড়ের তৃণমূলের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, 'অন্য অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। আজকের কর্মসূচিতে আমাকে বলা হয়নি।'
ডায়মন্ড হারবার-যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, 'এটা তো সবারই অনুষ্ঠান। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। সবার আশা উচিত।'
হুগলিতেও ঝামেলা:
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার হুগলির গোঘাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেনাই অঞ্চলে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে যান আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান, গোঘাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ অন্যান্যরা। গ্রামে ঢুকতেই আবাস যোজনায় বাড়ি না পাওয়ার ক্ষোভ তৃণমূলের প্রতিনিধিদের কাছে উগরে দেন বাসিন্দারা।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান জয়দেব জানা বলেন, 'মানুষের ক্ষোভ থাকতেই পারে। অনেকের নাম বাদ গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ক্রাইটেরিয়ার জন্য নাম বাদ যাচ্ছে। বিজেপি এর উত্তর দিক।'
ঘটনায় কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক বলেন, 'এরা তো কিছুই করেনি। কোনও উন্নয়ন নেই।'
আরও পড়ুন: পানীয় জলের জন্য মাসিক টাকা তোলা হচ্ছে ঘাটালে, পুরসভার বিরুদ্ধে পোস্টার এলাকায়