Coochbehar: বিজেপি বিধায়ক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনলেন 'দিদির দূত' তৃণমূল বিধায়ক
Coochbehar News: দিকে দিকে তৃণমূলের দিদির দূতেদের ঘিরে যখন ক্ষোভ-বিক্ষোভে যখন সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। তখন কোচবিহারে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, সুদীপ চক্রবর্তী: স্কুলের প্রধান শিক্ষক (Head Master) বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)। আর সেই প্রধান শিক্ষক নাকি প্রায়দিন স্কুলেই আসেন না! 'দিদির দূত' কর্মসূচিতে গিয়ে এমনই অভিযোগ শুনলেন সিতাইয়ের (Sitai) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। প্রধান শিক্ষকের গরহাজিরার কথা জানিয়ে ফোন করলেন স্কুল শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রীকে। যদিও বিজেপি বিধায়কের দাবি, বেশিরভাগ দিনই স্কুলে যান তিনি।
'দূতে'র নজরে প্রধান শিক্ষক
তিনি একইসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক, আবার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক। একদিকে ভাতা মিলিয়ে বিধায়ক হিসেবে বেতন ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি! প্রতিমাসে আবার শিক্ষকতার জন্যও বেতন তোলেন! তিনি, কোচবিহারের শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ, নিয়মিত বেতন নিলেও স্কুলে তাঁর উপস্থিতি মর্জিমাফিক!
দিকে দিকে তৃণমূলের দিদির দূতেদের ঘিরে যখন ক্ষোভ-বিক্ষোভে যখন সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। তখন কোচবিহারে দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। শুক্রবার সকালে দিদির দূত কর্মসূচিতে বেরিয়ে জাটিগারা মাধবচন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুল পরিদর্শনে যান সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া। এই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক হলেন শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন। স্কুলের হালহকিকত সম্পর্কে জানতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ও বিজেপি বিধায়কের হাজিরা নিয়ে জানতে চান তৃণমূল বিধায়ক।
স্কুলে পরিদর্শনে গিয়ে জগদীশ বর্মা বাসুনিয়াকে বলতে শোনা যায়, 'হেড মাস্টারমশাই স্কুলে আসেন?' জাটিগারা মাধবচন্দ্র বিদ্যাপীঠের শিক্ষকের কথায়, 'মাঝে মধ্যে আসেন।' বিজেপি বিধায়ক ও প্রধান শিক্ষকের গরহাজিরার অভিযোগ পেয়ে স্কুল থেকেই তাঁকে ফোন করেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক। তৃণমূল বিধায়ক জিজ্ঞেস করেন, 'তুই স্কুলে না এলে যাঁরা সিনিয়র আছেন, তাঁদের দায়িত্ব দিবি। তুই স্কুলের স্টাফ রিকোয়ারমেন্ট পাঠিয়েছিস?' বরেনচন্দ্র বর্মনের উত্তর, 'হ্যাঁ, সব কিছু। ভ্যাকেন্সি তো?' জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার পাল্টা বক্তব্য, 'হ্যাঁ, ভ্য়াকেন্সি। তার একটা কপি আমাকে দিবি।'
সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়ার দাবি, 'খুব খারাপ অবস্থা। তিনজন মাত্র শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক বিজেপি বিধায়ক। আসেনই না। আজ গিয়ে দেখি মাত্র ১৯ জন পড়ুয়া।' বিজেপি বিধায়কের নামে নালিশ করতে এরপর সোজা শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে ফোন করে বসেন তৃণণূল বিধায়ক।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে কি গোপাল দলপতির আদৌ কোনও ভূমিকা আছে? ধোঁয়াশা কাটাকে জেরার করতে চাই ইডি
কিন্তু, এতকিছুর পরও বিজেপির বিধায়ক-হেডমাস্টারমশাই কিন্তু সাফাই দিতে পিছপা হননি। জাটিগারা মাধবচন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ও শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মনের সাফাই, 'অনেক জায়গায় জনপ্রতিনিধিরা তো স্কুলেই যান না। আমি তো তাও যাই। গতকালও সরস্বতী পুজোয় স্কুলে গিয়েছি। খোঁজখবর নিয়েছি। রাজ্য সরকারের যা নীতি, তার জন্যই স্কুলগুলোর এই অবস্থা। সব স্কুলেই এক অবস্থা, শিক্ষক নেই। স্কুল চলবে কী করে?'
এখন এই জটিল সমস্য়ার কোনও তড়িঘড়ি সমাধান হয় কি না, সেটাই দেখার।