(Source: Matrize)
Dilip Ghosh: 'তৃণমূলের ভোট কাটছে, তাই গায়ের জোরে আইএসএফ-কে আটকানোর চেষ্টা', তোপ দিলীপের
TMC: ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনায় রাত পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ ঘিরে তুলকালাম হয়েছে দিনভর। ভাঙড়ে সংঘর্ষের ঘটনার জের এসে পড়েছিল কলকাতার ধর্মতলাতেও। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ হয় আইএসএফ কর্মীদের। গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ-বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। রবিবার তা নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কী বললেন দিলীপ:
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বাংলায় যে বিরোধিতা করে, তাঁকেই পুলিশ দিয়ে মারা হয়। বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে, তৃণমূলের অত্যাচার বেড়েছে। আইএসএফের দিকে সংখ্যালঘু সমর্থন, তৃণমূলের ভোট কাটছে। সেই কারণেই গায়ের জোরে আইএসএফ-কে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে।'
ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনায় রাত পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ধৃতদের লালবাজারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও ভাইরাল হওয়া ফুটেজ দেখে ৩৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়। অশান্তি, ভাঙচুর সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ধৃত আইএসএফ কর্মীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ধর্মতলায় আইএসএফ-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি সহ গ্রেফতার ১৯। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ ১৪টি ধারায় মামলা কলকাতা পুলিশের।
দিলীপ-অজিত তরজা:
দিলীপ ঘোষের হুমকি-হুঁশিয়ারি ঘিরে রাজ্য রাজনীতি আগেও উত্তাল হয়েছে। অজিত মাইতির বক্তব্য নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। ফের শুরু যুযুধান দুই শিবিরের দুই নেতার তরজা। তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক অজিত মাইতির বিরুদ্ধে জেলা পরিষদে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ করলেন দিলীপ ঘোষ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তার কাছে তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। পাল্টা আক্রমণ করেছেন অজিত মাইতিও।
দিলীপের অভিযোগ:
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'জেলা পরিষদে চাকরি দেওয়ার নামে বহু লোকের কাছে টাকা নিয়েছেন অজিত মাইতি।' অজিত মাইতির বিরুদ্ধে চাকরির নামে টাকা নেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। তিনি আরও বলেন, 'কখন কার বাড়িতে কে যায়। সময় বলবে। জেলা পরিষদে চাকরি দেওয়ার নামে বহু লোকের কাছে টাকা নিয়েছেন অজিত মাইতি।সব তথ্যই সামনে আসবে।'
অজিতের তোপ:
পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর এবং বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, 'যে চোর, সে সবাইকে চোর ভাবে। জেলা পরিষদের চাকরি কীভাবে হয়, সেটাই জানেন না।' তাঁর আরও দাবি, 'ওঁর দলিল ক্রিমিনালের বাড়িতে মিলেছে। পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়। জেলা পরিষদের চাকরি কীভাবে হয়, সেটাই জানেন না, চমকে ধমকে লাভ নেই।'
আরও পড়ুন: 'রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা', ভাঙড়কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া শান্তনুর