(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Dilip Ghosh: 'আমার হাত ধরে রাজু ঝা বিজেপিতে যোগ দেননি,' প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের
'কে দোষী, সেটা আদালত ঠিক করবে। রাজুর হোটেল ভাড়া নিয়ে বিজেপি বৈঠক করেছে।' দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের
কলকাতা: 'আমার হাত ধরে রাজু ঝা বিজেপিতে (BJP) যোগ দেননি।'বাবুলের দাবি খারিজ করে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। 'রাজুর মতো অনেক বড় নেতাই বিজেপিতে এসেছিলেন। কে দোষী, সেটা আদালত ঠিক করবে। রাজুর হোটেল ভাড়া নিয়ে বিজেপি বৈঠক করেছে।' দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
জাতীয় সড়কের ধারে রুদ্ধশ্বাস শ্যুটআউট। তা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহেই এ বার বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo)। শ্যুটআউটে নিহত কয়লা মাফিয়া (Coal Mafia) রাজু ঝায়ের (Raju Jha) বিজেপি সংযোগ তুলে ধরলেন বাবুল। তাঁর দাবি, রাজুর হোটেলে উঠতেন বিজেপি-র তাবড় নেতারা। কয়লা মাফিয়াচক্র নিয়ে কেন্দ্রকে অনেক তথ্যও দিয়েছিলেন। কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন বিজেপি-তে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাবুল।
যে কোনো মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক•আইন ভাঙলে আদালতেই তার বিচার হওয়া উচিত•এটা লিখছি কারণ এই রাজু ঝাকে নিয়েই আমার সঙ্গে @BJP4Bengal -এর যারা আজ বড় বড় কথা বলছে, তাদের চূড়ান্ত মতবিরোধ হয়•রাজুকে ঘটা করে বিজেপিতে যোগদান করায় @DilipGhoshBJP @KailashOnline •এবার এরা বলবে 'চিনিনা'! pic.twitter.com/BWusnQdQ68
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) April 1, 2023
যদিও বাবুলের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। 'আমার হাত ধরে রাজু ঝা বিজেপিতে (BJP) যোগ দেননি। রাজুর মতো অনেক বড় নেতাই বিজেপিতে এসেছিলেন। কে দোষী, সেটা আদালত ঠিক করবে। রাজুর হোটেল ভাড়া নিয়ে বিজেপি বৈঠক করেছে।' তিনি যখন মন্ত্রী ছিলেন, বিজেপিতে ছিলেন তখন তাঁর যে সচিব তাঁকে কয়লাকাণ্ডেই ডেকেছিল সিবিআই। উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর যদি মন্ত্রীকে ডাকতে পারে, তারপর একথা কীভাবে বলেন! উনি তো নিজে ভুক্তোভূগী। অন্যায়ের যে তদন্ত চলছে তা চলবে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার অপরাধ-জগতে অত্যন্ত পরিচিত নাম রাজু ঝা। কয়লা পাচার, গাঁজা পাচার, বেআইনি অস্ত্র রাখা...তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ! বেশ কয়কবার জেল খেটেছেন এই রাজু। ২০০৫ সালে সরযূ উপাধ্যায়ের বেসরকারি পরিবহণ অফিসে কাজ করতেন রাজু। ২০০৬ সালে এরপর কয়লা কারবারে নামে রাজু। পরে আসানসোল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় তাঁর কারবার ছড়িয়ে পড়ে। কয়লা পাচারের অভিযোগ ২০১১ সালের ৩ জুলাই রাজুকে গ্রেফতার করেছিল রানিগঞ্জ থানা। ২০১৪ সালের ২৬ মে ফের কাঁকসা থানার হাতে তিনি ধরা পড়েন।২০১৫ সালের ৬ মে কাঁকসায় কয়লা চুরির অভিযোগে গ্রেফতার। ২০১৬ সালের জুন মাসেও কাঁকসা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ৩ মাস পর জামিনে ছাড়া পেয়ে ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছিলেন রাজু ঝা। এরপর ২০১৬ সালে ৬ ডিসেম্বর বাগুইআটি থেকে টাকা পাচারের অভিযোগে ফের রাজুকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ২১ ডিসেম্বর ২০২০ বিজেপিতে যোগদান করেন এই কয়লা মাফিয়া। বিজেপির প্রচারেও অংশ নেন তিনি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে কয়লা পাচারের অভিযোগে বাঁকুড়া থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। সেই মামলায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আর রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় ছিলেন না রাজু।
আরও পড়ুন: Raju Jha Murder: বিজেপিতে রাজুর যোগদানের সময় দিলীপ ঘোষ ও আমি ছিলাম: অর্জুন