CBI মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকুক, সত্যি সামনে আসবে, এবার সরব দিলীপ
RG Kar Case : 'শপথ নিই, সংকল্প নিই, পশ্চিমবঙ্গে একটি মহিলার গায়েও হাত পড়বে না, কোনও অসম্মান হবে না।' রাখীতে শপথ দিলীপের।
রানা দাস, কাটোয়া : আর জি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক মৃত চিকিৎসকের পরিবার এবার চান, 'কলকাতার সিপি-কেও সিবিআই তদন্তের আওতায় আনা হোক'। আর এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষ চাইলেন, সিবিআই ডেকে পাঠাক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। তাহলেই সব সত্যি সামনে এসে যাবে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মতে, সেই দিনটা আসছে' !
সোমবার সকালে কাটোয়া স্টেশনরোডে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ । সেখানেই আরজি কর কাণ্ড নিয়ে কড়া ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, 'সিবিআই সম্ভবত দোষীদের ডাকতে শুরু করেছে। প্রিন্সিপ্যালকে ডেকেছে, সিপি ভুল স্টেটমেন্ট দিয়েছে তাকেও ডাকা উচিত।'
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ' আজ যদি পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে পুলিশকে পেটানো শুরু করে, কারণ সিপি যেভাবে স্টেটমেন্ট দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে... তিনি আইন সম্মত কথা বলছেন না...এই যে সত্যকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন ...মানুষের সহ্যের সীমা পার হয়ে যাচ্ছে। কাল যদি মানুষ পুলিশকে বয়কট করে, আক্রমণ করে আপনারা কোথায় যাবেন?', হুঁশিয়ারি দিলীপের।
এরপর তিনি বলেন, 'পুলিশের কাছে আবেদন করব, আপনাদের কীসের বাধ্য বাধ্যকতা। চাকরি করে খেতে হবে। পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, টাকা দিয়ে পাননি। ভয় কীসের? আপনারা কেন পাপের ভাগীদার হবেন? আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন... বাংলাদেশে দেখুন পুলিশকে তাড়া করে কীভাবে মেরেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় থাকার ব্যাপার আছে, আপনাদের কী আছে?'
আজ সোমবার রাখীবন্ধন উৎসব। একে অপরকে রক্ষা করার অঙ্গীকার নেওয়ার দিন। সৌভ্রাতৃত্বের দিন। এবার এই দিনে দিলীপ ঘোষ বললেন, ' রাজ্যের মহিলাদের মানসম্মান জীবন অসুরক্ষিত। আমি আজ সকালে মহিলাদের হাতে রাখী বাঁধলাম। এতদিন আমরা জানি, বোনেরা ভাইদের হাতে রাখী বাঁধে। আজ আমরা সংকল্প নিই তাঁদের সুরক্ষা দেব... শপথ নিই, সংকল্প নিই, পশ্চিমবঙ্গে একটি মহিলার গায়েও হাত পড়বে না, কোনও অসম্মান হবে না।'
আরও পড়ুন, 'শুধু জিজ্ঞাসাবাদ কেন? কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না সন্দীপ ঘোষকে?' প্রশ্ন তুলল নির্যাতিতার পরিবার
আগেও R G কর মেডিক্যালে 'ঘুঘুর বাসা' নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ । তিনি অভিযোগ আনেন ' সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রি হয়ে যায়। শান্তনু সেন সব সত্যি বলে দিয়েছেন বলে তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই, তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। '