Dilip Ghosh : বিজেপি কর্মীর শেষযাত্রায় তুলকালাম, ' আমার দলের কর্মীর গায়ে হাত তুললে, বুকে পা তুলে দেব' খোলা হুমকি দিলীপের
পরে অবশ্য এই কাজে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান দিলীপ ঘোষ। বলেন, 'সরকারের গালে থাপ্পড় মারা উচিত, হোমগার্ডকে মেরেছে ঠিক করেছে, মেরে ফেলেছেন, হোমগার্ডের কী অধিকার?'
কলকাতা : সকালবেলা বলেছিলেন, যদি হোমগার্ডকে চড় মেরেই থাকেন তাঁর দলের নেতা তাহলে বেশ করেছেন ! 'হোমগার্ডের এত সাহস হয় কী করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছেলে নাকি !' আবারও ক্যামেরার সামনে বুক বাজিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)বললেন, 'হ্যাঁ আমি আবারও বলছি, আমার কর্মীদের গায়ে হাত দিলে আমি তার বুকে পা তুলে দেব। ' সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, যাঁরা ভদ্রতার কথা বলেন, তাঁরা বাড়িতে গিয়ে আঁচলের তলায় মুখ লুকোন।
কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারের (Avijit Sarkar) মৃতদেহ হস্তান্তরকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে এনআরএসের মর্গে। পুলিশের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগে কর্তব্যরত হোমগার্ডের গায়ে হাত তুললেন বিজেপি নেতা! সেই অভিযোগ তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। পরে অবশ্য এই কাজে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান দিলীপ ঘোষ স্বয়ং। বলেন, 'সরকারের গালে থাপ্পড় মারা উচিত, হোমগার্ডকে মেরেছে ঠিক করেছে, মেরে ফেলেছেন, হোমগার্ডের কী অধিকার?'
আরও পড়ুন - এনআরএস-মর্গে উত্তেজনা! হোমগার্ডকে 'চড়' বিজেপি নেতার ! 'মেরে থাকলে বেশ করেছেন', বললেন দিলীপ
এই মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এই মন্তব্য নিম্নরুচির পরিচয়। ফিরহাদ হাকিম বলেন , 'এখন মানুষ ভাবছেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে কত পুলিশ চড় খেত, ভাগ্যিস আসেনি। '
দিন মর্গ থেকে বিজেপি কর্মীর দেহ বের করার সময় এনওসি নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। দেহ লোপাটের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তোলে মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার। শেষপর্যন্ত থানার তরফে এনওসি দেওয়া হলে বিজেপি কর্মীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতালে বিজেপি নেতার হোমগার্ডকে চড় মারা নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক তরজা।
এরপর আবার বিকেলে অভিজিত সরকারের মরদেহ বিজেপির সদর দফতর, কাঁকুড়গাছি হয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। আলিপুর রোডে পুলিশ শববাহী শকট আটকাতে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গাড়ি আটকাতে ফের রণংদেহী হয়ে ওঠেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আশিস দাসের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। অভিযোগ, পুলিশকে তখন আবার চড় মারার হুমকি দেন বিজেপি নেত্রী।