Bankura: পঞ্চায়েতের তোরণ তৈরির জন্য রাস্তা কেটে ফেলে রাখা হয়েছে, ঘুরপথে হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু প্রসূতির
Pregnant Woman Death: খবর জানাজানি হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পঞ্চায়েত সমিতি। তড়িঘড়ি তোরণ তৈরির কাজে লাগানো হয় শ্রমিক।
তুহিন অধিকারী ও মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: মালদার বামনগোলার পর এবার লজ্জার ছবি বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুরে। ফের বেহাল রাস্তার জন্য গেল আরও একটি প্রাণ। কাটা রাস্তার কারণে , ঘুরপথে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পথেই মৃত্যু হল প্রসূতির। জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির তোরণ নির্মাণের জন্য কাটা হয়েছে রাস্তা। ৩ কিমি ঘুরে হাসপাতালে যাওয়াই ছিল একমাত্র উপায়। তাই সেই পথই বেছে নেওয়া হয়েছিল। ফল স্বরূপ চলে গেল আরও একটা প্রাণ। পরিবারের দাবি, ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেলে বাঁচানো যেত প্রসূতিকে। যদিও রাস্তা কাটা থাকার কারণে মৃত্যু, এ কথা মানতে নারাজ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। তবে খবর জানাজানি হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পঞ্চায়েত সমিতি। তড়িঘড়ি তোরণ তৈরির কাজে লাগানো হয় শ্রমিক।
ফের মুখ ঢাকল লজ্জায়! মালদার বামনগোলার পর একই মাসে লজ্জার ছবি ফিরে এল বাঁকুড়ার জয়পুরে! তোরণ তৈরির জন্য কাটা রাস্তা পেরোতে পারেনি প্রসূতির গাড়ি। ঘুরপথে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই মৃত্যু হল অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর!
বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুরে পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে রাস্তার উপর তৈরি হচ্ছে তোরণ। তার জন্য রাস্তা কেটে ফেলে রাখা রয়েছে বেশ কয়েকদিন। দু'পাশে উঁচু করা রয়েছে মাটি। অভিযোগ, এই কাটা রাস্তাই কেড়ে নিয়েছে এক অন্তঃসত্ত্বা ও তাঁর গর্ভস্থ যমজ সন্তানের প্রাণ!
সূত্রের খবর মৃতার নাম, তাপসী মণ্ডল (৩৪)। স্থানীয় সূত্রে খবর, জয়পুরের ডান্ডে গ্রামে বাপের বাড়িতে ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাত থেকে তিনি অসুস্থ ছিলেন। সমস্যা বাড়তে থাকায় শনিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকজন। জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও হাসপাতালে কাছে গিয়ে দেখা যায়, তোরণ তৈরির জন্য কাটা রয়েছে রাস্তা।
পরিবারের দাবি, রাস্তা কাটা থাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরপথে হাসপাতালে যেতে হয়। তার জন্য ৪০ মিনিট সময় নষ্ট হয়। ফলে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তরুণীর মৃত্যু হয়। যদিও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন, মিথ্যা বলে দাবি করেছে পঞ্চায়েত সমিতি। খবর জানাজানি হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পঞ্চায়েত সমিতি। তড়িঘড়ি কাটা রাস্তা বোজানোর কাজে লাগানো হয় শ্রমিক।
আগেও একই ঘটনা: কয়েকদিন আগেই একই ছবি দেখা গিয়েছিল মালদায়। অ্যামবুল্যান্স না পেয়ে খাটিয়ায় চাপিয়ে এক রোগিণীকে নিয়ে যেতে হয় বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মোদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে। পথেই মৃত্যু হয় ওই রোগিণীর। পরিবারের অভিযোগ, বেহাল রাস্তায় আসতে চায়নি অ্যামবুল্যান্স বা টোটো। জনরোষ সামাল দিতে তডিঘড়ি রাস্তা সারাইয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন বিডিও। ফের একই দেখা গেল জয়পুরে। লজ্জা ঢাকতে, তড়িঘড়ি রাস্তার কাটা অংশ ঢাকা দেওয়ার কাজ শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি।