Agnimitra Paul : রাজনীতির পরত সরিয়ে সিঁদুর খেলায় মাতলেন অগ্নিমিত্রা পাল, অংশ নিলেন ধুনুচি নাচে
Durga Puja : আরামবাগে নিজের পাড়ায় পারুল মিলন মঞ্চ ক্লাবে সিঁদুর খেলায় সামিল হন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। দশমীতে হাজরা পার্কের পুজো মণ্ডপে আসেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
দীপক ঘোষ, কলকাতা : পুজোর ক’টা দিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আনন্দ-উৎসবে সামিল হয়েছিলেন রাজনীতিকরাও। দশমীতে বিদায়বেলায় মা-কে বিদায় জানাতে গিয়ে, সবারই মন ভারাক্রান্ত। সল্টলেকে ইজেডসিসি-র পুজোতে দেবীবরণ, সিঁদুর খেলায় মাতলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। অন্যদিকে, হিন্দুস্তান পার্কের পুজোয় সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
পাশাপাশি আরামবাগ পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের পাড়ায় পারুল মিলন মঞ্চ ক্লাবে দেবী বরণ করে সিঁদুর খেলায় সামিল হন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। দশমীতে হাজরা পার্কের পুজো মণ্ডপে আসেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উৎসবের শেষ লগ্ন থেকেই ফের প্রকট হয়ে উঠতে শুরু করেছে রাজনীতির রং।
উৎসব শেষের আনন্দ
দশমীর সকালে EZCC’তে দেবীকে বরণ করেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। এরপর কখনও ঢাক বাজাতে আবার কখনও ধুনুচি হাতে নাচতে দেখা যায় তাঁকে।
চড়া শুরু রাজনীতির রং
বুধবার EZCC’তে বিজেপির পুজোয়, দেবীকে বিদায় জানাতে গিয়েও, রাজ্য সরকারের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেছেন, 'মায়ের কাছে চাইলাম রাজ্য যে অন্ধকারে ডুবে গেছে, তা থেকে রক্ষা কর।' যার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
আসছে বছর আবার হবে
বাপের বাড়ি থেকে আবার কৈলাসে পাড়ি উমার। ঢাকের বোলে বিসর্জনের সুর। আরও একটা বছরের প্রতীক্ষা। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরেই শুরু হয় বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়। সঙ্গে কোলাকুলি, মিষ্টিমুখ মাস্ট। রকমারি মিষ্টিতে যেন উৎসব শেষের কষা স্বাদ ঢেকে নিয়ে নতুন লড়াই শুরুর চেষ্টা।
বেজে গিয়েছে বিসর্জনের বাজনা ৷ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে কৈলাসে পাড়ি উমার। আনন্দে উচ্ছ্বাসের মাঝেই মিশেছে বিষণ্ণতার সুর৷ মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী-বরণের পাশাপাশি সিঁদুর খেলা। এরপর মা-কে বিদায় জানানোর পালা। সিঁদুর খেলে, মিষ্টিমুখে প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কোলাকুলি, শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখ৷ বাঙালির চিরাচরিত রীতি। হাসি মুখে মাকে বিদায় জানিয়ে আরও একটা বছরের অপেক্ষা৷ এখন শুধু দু’চোখ ভরে মাকে দেখে নেওয়া আর ঢাকের তালে মনে মনে বলা, আসছে বছর আবার এসো মা৷