Santosh Mitra Square Pujo: বন্ধ হতে পারে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো? 'পুলিশ ফোনে বলেছে চালানো যাবে না', জানালেন সজল ঘোষ!
Sajal Ghosh Durga Puja: এদিন সজল ঘোষ বলেন, 'পুলিশ চাইছে দুর্ঘটনা ঘটুক। যাতে পুজো কমিটিকে ব্যান করে দেওয়া যায়। আমি সনাতনী হিন্দু হয়ে এটাই জিজ্ঞেস করছি, যে এ রাজ্যে কি পুজো করা যাবে না?'

কলকাতা: সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঞ্চ থেকে একাধিক বার্তাও দেন তিনি। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই পুজো নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বিতর্ক হয়েছিল। গত বছরও পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে এই পুজো মণ্ডপের আলো নিভিয়ে দিয়েছিল। এবারে তাদের থিম 'অপারেশন সিঁদুর'। বিগত কয়েক বছর ধরেই সমসাময়িক বিষয়ই থিম হয়ে আসছে এখানকার পুজোর। তবে এবার পুজো বন্ধ করতে পারেন সজল ঘোষ।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, 'রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে মাঠ। ২১ এর পর প্রতি বছর এটাই করছে। যারা প্রজেকশন করছে হায়রাসমেন্ট। পুলিশি অসভ্যতামি চলছে। আমরা সব সঠিক কাগজপত্র দিয়েছি বলেই পুলিশি অনুমোদন দিয়েছিল। এরকম করলে পুলিশের আন্দোলন করে করে কীভাবে পুজো চালাব? এটা ৯০ বছরের পুজো। পুলিশ চাইছে দুর্ঘটনা ঘটুক। যাতে পুজো কমিটিকে ব্যান করে দেওয়া যায়। আমি সনাতনী হিন্দু হয়ে এটাই জিজ্ঞেস করছি, যে এ রাজ্যে কি পুজো করা যাবে না?
সজল ঘোষের কথায়, 'অপারেশন সিঁদুর অনেকের সহ্য হয়নি। গতকাল থেকেই অসহযোগিতার আভাস পাচ্ছি। সরকার, আদালতের সব নির্দেশ সব সময় মেনে চলি। পুলিশ বলেছে চালাতে দেব না নয়, চালানো যাবে না। পুলিশের সঙ্গে লড়াই করে পুজো করা সম্ভব নয়। পুলিশ বলছে, অডিও-ভিস্যুয়াল চালানো যাবে না'।
বিজেপি নেতা আক্রমণাত্মক সুরে বলেন, 'যেখানে মানুষ ৭০০ মিটার হাঁটলে মণ্ডপে আসতে পারে সেটাকে ইচ্ছে করে ৩ কিলোমিটার রাস্তায় হাঁটানো হচ্ছে, ও ব্যারিকেডের মধ্যে দিয়ে। ৪০ ফুটের রাস্তা বন্ধ করে ৪-৫ ফুটের রাস্তা দিয়ে মানুষদের ঢোকাচ্ছে। যাতে মানুষ বিপদে পড়ে। যাতে অশান্তি ছড়ায়, সেটাই পুলিশ চাইছে। ঠাকুরের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকব। পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলে বিসর্জনের আগে দরকার হলে নিরঞ্জন করে দেব।'
প্রসঙ্গত, চারবার নোটিসের পর এর আগে , বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো বলে পরিচিত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো-প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে আসে পুলিশ। নোটিসে মণ্ডপে ঢোকা ও বেরনোর পর্যাপ্ত জায়গা রাখা, প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়ার মোতায়েন, বেরনোর গেটের কাছে হকার বসানো থেকে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো, বিজ্ঞাপনের গেট, জয় রাইডে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়। তারপর সরাসরি পুজো মণ্ডপে গিয়ে ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখে পুলিশ।






















