DYFI Brigade: ব্রিগেডে জনজোয়ার, মীনাক্ষীকে সামনে রেখে সুদিন ফেরার আশায় বুক বাঁধছে CPM
West Bengal: বৃদ্ধতন্ত্রের বেড়াজাল ভাঙল বাম-ব্রিগেড। ইনসাফের দাবিকে সামনে ব্রিগেড ভরালেন মীনাক্ষীরা।
কলকাতা: ইনসাফ চাওয়া ব্রিগেডের মুখ হলেন তিনিই। তাঁর কথা শুনতেই কলকাতায় এসেছিলেন – ব্রিগেডে আসা-যাওয়ার পথে এমনটা জানিয়ে গিয়েছেন অনেকেই। ব্রিগেড সমাবেশে তিনি পোডিয়ামে উঠতেই, উঠেছিল হাততালি আর স্লোগানের ঝড়। তিনি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) রাজ্য সম্পাদক। তাঁকে সামনে রেখেই সুদিন ফেরার আশায় বুক বাঁধছে সিপিএম।
সুদিন ফেরার আশায়: বৃদ্ধতন্ত্রের বেড়াজাল ভাঙল বাম-ব্রিগেড। ইনসাফের দাবিকে সামনে ব্রিগেড ভরালেন মীনাক্ষীরা। সাতমুখী স্রোত থেকে ব্রিগেডের ভিড় - সবাই গলা মেলালেন মীনাক্ষীদের সঙ্গে। ব্রিগেডের পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে ক্যাপ্টেন কী বার্তা দেন, তা শুনতে গ্রামগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছিলেন বহু সিপিএম কর্মী। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের এক সিপিএম কর্মী বলেন, মীনাক্ষীর মিটিং। আমাদের যুবর মিটিং। যুবনেত্রীর জন্য আমরা এসেছি।’’ ব্রিগেডে আসা দাঁতনের এক সিপিএম কর্মী গতকাল বলেন, “মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মিটিং শুনতে যাতে পশ্চিমবাংলায় এই সব দুর্নীতি-চোর মুক্ত হয়, তার জন্য আমরা লড়াই করছি।’’
রবিবারে ইনসাফের ব্রিগেডে তৃণমূল-বিজেপিকে একসারিতে বসিয়ে আক্রমণ করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লড়তে এসেছি তো? আর গোটা রাজ্যের যে মাঠে ওরা রাজনীতিকে নিয়ে বলেছিল খেলা হবে, সেই মাঠের দখল।“আর বাপ-মায়ের হাত ধরে যখন ব্রিগেডের লড়াইটা করতে এসেছি। তখন আমাদের এটা কেউ শেখায়নি যে, আর ব্রিগেডে মাঠে আর রাজনীতিটা করতে গেলে চোরেদের বাড়িতে জন্ম নিতে হবে। রাজনীতিটা করতে গেলে ২৫ আর ৭৫-এর ভাগ-বাটোয়ারা করতে হবে, দল শেখায়নি। শিখিয়েছে, পাশের জনের হাত ধরতে হবে, আর এগিয়ে যেতে হবে।’’
বিদ্রোহী কবি নজরুলের কবিতা উদ্ধৃত করতে গিয়ে মীনাক্ষী বলেন তিনি একটি লাইন ভুলে গিয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই মহম্মদ সেলিম কটাক্ষ করেন মোদি-মমতাকে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, “অনেকে বলেন বামপন্থা আর দক্ষিণপন্থার মধ্যে তফাৎ কী? খুব সহজ। এখানে কমরেড মীনাক্ষী আপনাদের সামনে বক্তৃতা করছিল। বলতে বলতে উত্তেজনায় কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা থেকে উদ্বৃতি দিতে ভুলে গেছিল। আচ্ছা এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলে কোনওদিন বলতে পারত ভুলে গেছি? মোদি কখনও বলতে পারে জনসমক্ষে ভুলে গেছি? কোনও দক্ষিণপন্থী, কোনও স্বৈরতান্ত্রিক, কোনও ফ্যাসিস্ট কখনও ভুল স্বীকার করে না। বামপন্থীরা পারে।’’ ব্রিগেড কাঁপানোর পর, সমাবেশ শেষ হতে সেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়কেই দেখা গেছে সঙ্গীদের নিয়ে ময়দান পরিষ্কার করতে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।