East Bardhaman News: ভাতারে বৃদ্ধ দম্পতির ঘরে 'লুঠের পর নতুন তালা', দুষ্কৃতীদের চম্পটের পরই বেরিয়ে এল দুর্গন্ধ !
East Bardhaman Death Mystery: মর্মান্তিক ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে..
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: লুঠপাট চালিয়ে বৃদ্ধ দম্পতিকে খুনের পর ঘরে তালা? পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে বন্ধ ঘরে বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধারে রহস্য। 'খুনের পর কিনে আনা নতুন তালা দরজায় লাগিয়ে দুষ্কৃতীদের চম্পট'। ভাতারে অভিজিৎ-ছবিরাণী যশের মৃত্যুতে এখনও ধোঁয়াশা। দুর্গন্ধে সন্দেহ প্রতিবেশীদের, তালা ভেঙে দেহ উদ্ধার পুলিশের।সাম্প্রতিককালের ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা এটি। বলাই বাহুল্য, লুঠের পর কেন খুন করা হল দম্পতিকে, প্রশ্ন উঠেছে।
বাড়িতে লুঠপাট চালানোর পর দম্পত্তিকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান স্থানীয়দের। অনুমান, আগে থেকেই পরিকল্পনা করে নতুন তালা কিনে আনে দুস্কৃতীরা।লুঠপাট ও দম্পতিকে খুনের পর ঘরের বাইরে থেকে সেই তালা ঝুলিয়ে চম্পট দেয় দুস্কৃতীরা।বাইরের তালা ভেঙে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপার সায়ক দাস। তদন্তের জন্য আনা হয়েছে পুলিশ কুকুর।ঘটনাটি ঘটেছে ভাতারের রবীন্দ্রপল্লীতে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃত অভিজিৎ যশ ও তার স্ত্রী ছবিরাণী যশ নিঃসন্তান হওয়ায় বাড়িতে তারা ছাড়া কেউ থাকতেন না।গত শুক্রবার আত্মীয়দের সাথে শেষ কথা হয়।এরপর আজ বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোয় এলাকার লোক পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে বাইরে থেকে লাগানো তালা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের দাবি,গোটা ঘরে লুটপাট চালানো হয়েছে।লুটপাটে বাধা পেয়েই খুন করা হয়ে থাকতে পারে দম্পত্তিকে।এবং লুঠপাট ও খুনের পর বাড়ির বাইরে থেকে তালা মেরে দুস্কৃতিরা চম্পট দেয় বলেই স্থানীয়দের অভিযোগ।ঘটনাস্থলে ভাতার থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত করেছে।
আরও একটি ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী কলকাতা। গলফগ্রিন থানা এলাকায় টালিগঞ্জের গ্রাহামস রোডে ভ্যাটের মধ্যে উদ্ধার হয়েছিল মহিলার মাথা। খুনের ঘটনায় ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙা থেকে আটক করা হয়েছিল নিহতের ভগ্নিপতিকে।পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত মহিলার নাম খতেজা বিবি।বছর চল্লিশের খতেজার বাড়ি মগরাহাটের কামদেবপুরে।
বেশ কয়েকবছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বাপের বাড়িতে দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন খতেজা। গলফ গ্রিন, যাদবপুর এলাকায় পরিচারিকার কাজ করতেন। কাজে গিয়েছিলেন, তারপর বাড়ি ফেরেননি, মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবারের পঞ্চগ্রামের বাসিন্দা পেশায় রং মিস্ত্রি ভগ্নিপতির সঙ্গে খতেজার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন, মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থার মামলায় আগাম জামিন মঞ্জুর, স্বস্তিতে তন্ময় ভট্টাচার্য
সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই প্রতিহিংসাবশত খুন বলে আগেই অনুমান করেছিল পুলিশ। মহিলার কাটা মাথা উদ্ধার হলেও প্রথমে দেহের বাকি অংশের হদিশ মিলছিল না। নিহত খতেজা বিবির ভগ্নিপতিকে জেরা করে অবশেষে বাকি দেহাংশের হদিশ মিলেছে। এক জায়গায় মাথা, আরও ২ জায়গায় পা, শরীরের বাকি অংশের হদিশ মিলেছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।