Panchayat Minister: মাছ ধরা নিয়ে বিবাদ, পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা! CPM-এর উস্কানি দেখছেন তৃণমূল নেতা
East Burdwan News: বাড়িতে হামলা, নেপথ্যে সিপিএমের উস্কানি দেখছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: মাছ ধরা নিয়ে বিবাদ, পঞ্চায়েত মন্ত্রীর (Panchayat Minister) বাড়িতে হামলা! রায়নায় পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের (Pradip Majumdar) বাড়ি ভাঙচুর। মন্ত্রীর পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে বিবাদ, মারধরের অভিযোগ। মারধরের অভিযোগে মন্ত্রীর বাড়িতে চড়াও গ্রামবাসীদের একাংশ। পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর গ্রামবাসীদের একাংশের।
এদিকে, বাড়িতে হামলা, নেপথ্যে সিপিএমের উস্কানি দেখছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। পুকুরের দায়িত্বে থাকাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মন্ত্রীর। এদিন মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বাঁশ-লাঠি হাতে দাপাদাপি, ভাঙচুর চালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয় কয়েকশো গ্রামবাসী। এমনকী, বাড়ির গেট ভাঙার চেষ্টা করে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এরপর বাগানে ঢুকে তাণ্ডবও চালানো হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু কি কারণে এই ঘটনা?
স্থানীয় সূত্রে খবর, শোলমাছ চুরিকে কেন্দ্র করে এই অশান্তির সূত্রপাত। গ্রামবাসীদের দাবি, মন্ত্রীর বাড়ির এই পুকুরে সোমবার মাছ ধরতে যায় স্থানীয় এক যুবক। অভিযোগ, ওই যুবককে ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে বাড়ির পরিচারক-কেয়ারটেকার সহ বেশ কয়েকজন।
এরপর মাধবডিহি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, RAF গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ প্রসঙ্গে, পঞ্চায়েত মন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার বলেন, 'আমাদের পারিবারিক পুকুর আমরা গ্রামের ছেলেদের চাষ করতে দিয়েছি। তাদের সঙ্গে কিছু হলে তার দায় আমার ওপর কেন বর্তাবে? আমি ছিলামও না। জানিও না। সিপিএম পিছন থেকে উস্কানি দিচ্ছে। এসব রাজনৈতিক ঘটনা। ওদের উস্কানো হয়েছে। আমি মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করি না। সবাইকে সাহায্যের চেষ্টা করি। আমার নিরাপত্তা রক্ষী ওখানে নেই। ওখানে বাড়ি পরিষ্কারের লোক আছে। তাদের মারধর করার ক্ষমতা আছে বলে জানি না।
আরও পড়ুন, 'মন্নতে'র ভিড়ই যেন সরে এল কালীঘাটে, জন্মদিনে শুভেচ্ছায় ভাসলেন অভিষেক
যদিও, পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সিপিএম-এর সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'তৃণমূলের মানুষের ওপর বল্গাহীন আক্রমণ এটা মানুষ মেনে নিতে পারছে না। প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। ফলে মানুষ কতদিন সহ্য করবে? মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ। তৃণমূলকে চরম খেসারত দিতে হবে।'
পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। SDPO-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে।