East Medinipur : দুর্যোগের আশঙ্কা কাটেনি, পাঁশকুড়ায় কংসাবতীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নতুন করে বাড়ছে জল
ফের ঘনাচ্ছে দুর্যোগ। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ। এদিকে আগের নিম্নচাপের রেশ এখনও কাটেনি।
বিটন চক্রবর্তী ও ঋত্বিক প্রধান, পাঁশকুড়া(পূর্ব মেদিনীপুর) : পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্ত এখনও জলমগ্ন। পাঁশকুড়ায় কংসাবতীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নতুন করে জল বাড়ছে এলাকায়। এরই মধ্যে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ফের ঘনাচ্ছে দুর্যোগ। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ। এদিকে আগের নিম্নচাপের রেশ এখনও কাটেনি। পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের তলায়। কোথাও কোথাও প্রায় গল-সমান জল। যেমন-এগরা দুই নম্বর ব্লক। যেদিকে দু'চোখ যায় সেদিকেই শুধু জল আর জল। শুক্রবার পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকে কেলেঘাইয়ের ভাঙা বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে প্রশাসন।
এদিকে কেন বাঁধ মেরামতিতে দেরি, এই প্রশ্ন তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, এক গলা জলে মানুষ বাস করছে। আট-দশদিন পরে পশ্চিমবঙ্গের কুখ্যাত সরকারের মনে পড়ল যে, এবার বাঁধটা সারানো জরুরি। কাটমানি খেতে খেতে তো একদিন নির্লজ্জতার বাতাবরণ অতিক্রম করার ইচ্ছা হবে !
অন্যদিকে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, পুরো ভাঙন মেরামত করতে খুব বেশি হলে সাত দিন সময় লাগবে। জনগণ প্রচুর সাহায্য করছে। বিজেপি অভিযোগের মাস্টার।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে পটাশপুর ১ নম্বর ব্লকের কাছে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে বিপত্তি বাধে। বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। এর জেরে পটাশপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বহু জায়গা প্লাবিত হয়। জল থইথই করে পটাশপুর বাজার। প্রায় ২০০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয় প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে।
আরও পড়ুন ; পটাশপুরে পানীয় জলের চরম সংকট, বিদ্যুৎহীন একাধিক গ্রাম
এর আগে গত অগাস্ট মাসেও মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় পাঁশকুড়ায় বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যায় কংসাবতীর জল। বেশ কয়েকটি জায়গায় নদী বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। পাঁশকুড়া পুর-এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কয়েকটি এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করে। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কংসাবতীর বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে সেচ দফতর।