Nandigram: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে জয়ী বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা, শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে ধাক্কা তৃণমূলের
Nandigram News: পাথরঘাটায় নীলকণ্ঠী কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচন। ভোট দিতে আসায় বাধা দানের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।

নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে জয়ী বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। সোনাচূড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে নিরঙ্কুশ জয় বিজেপির। ১২টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জয়ী বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে সমবায় ভোটে ধাক্কা তৃণমূলের। এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীতে সমবায় নির্বাচন ঘিরে এদিকে তুলকালাম। বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। বংশীহারীর পাথরঘাটায় নীলকণ্ঠী কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচন। ভোট দিতে আসায় বাধা দানের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। এর পরই বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়কে পুলিশের সামনেই মারধরের অভিযোগ।
সমবায় ভোট ঘিরে রবিবার দুই জেলায় দু’রকম ছবি উঠে এল। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে দিলকণ্ঠী কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। পুলিশের সামনেই পেটানো হল মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়কে। ৬ আসনের দিলকণ্ঠী কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ভোটে, সবকটি আসনেই প্রার্থী দেয় তৃণমূল ও বিজেপি। সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা ৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন বিজেপি সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেয়। এই নিয়েই দু’পক্ষের গন্ডগোল বাধে। বচসা থেকে শুরু হয় মারামারি।
গঙ্গারামপুরের বিজেপি বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ''তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী যারা বহিরাগত বাইরে থেকে এসে। স্থানীয় গুন্ডাদের সঙ্গে করে বিজেপি নেতৃত্বকে মারধর করা হয়েছে। মণ্ডল সভাপতি-সহ কয়েকজন আহত। ওর গ্রাম থেকে ভোট দিতে আসতে দিচ্ছে না।''
এ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, ''জনসমর্থন না পেয়ে শেষে দলদাস মেরুদণ্ডহীন পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করে এবার গুন্ডামি এবং জুলুমবাজি দ্বারা অবৈধভাবে সমবায় দখল করতে চাইছে মমতার মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। সাহস থাকলে পুলিশের নিরপেক্ষ প্রহরায় ভোট করিয়ে একবার দেখান ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী! জনতা বুঝিয়ে দেবে সমর্থন কার দিকে রয়েছে। সেই দিন আসন্ন, যেদিন গ্রামে-গঞ্জে এলাকায় এলাকায় এই চাকরিচোর, গণতন্ত্র লুটেরাদের গাছে বেঁধে রেখে পেটাবে সাধারণ মানুষ।"
যদিও বিজেপির ওপর হামলাকে জনরোষ বলে দাবি করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল। দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, ''ওরা পরাজয়ের আশঙ্কায় যেমন বংশীহারি মৎস্য সমবায়ে অবরোধ করেছিল। তেমনই এখানেও অবরোধ করার চেষ্টা করেছিল। সেই অবরোধ সাধারণ মানুষ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে তখনই ধাক্কাধাক্কি হয়।'' আহতদের স্থানীয় রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে এদিন ছিল তৃণমূল-বিজেপির প্রেস্টিজ ফাইট। শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে সোনাচূড়া কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল। ১২ আসনের সমবায় সমিতিতে সবকটি আসনেই লড়েছেন তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। অশান্তি ঠেকাতে পুলিশে ছয়লাপ ছিল গোটা এলাকা। রাস্তায় নামেন নন্দীগ্রাম থানার IC প্রসেনজিৎ দত্ত। টানটান পরিস্থিতির মধ্যে শেষ হয় ভোট। দিনের শেষে, সোনাচূড়া কৃষি উন্নয়ন সমিতির ১২টি আসনের মধ্যে সবকটিতেই জিতেছে বিজেপি।






















