Bhagabanpur News: লোনের টাকা না পেয়েই কি 'খুন' ? ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধারে তদন্তে পুলিশ
Bhagabanpur Businessman Death Mystery: ভগবানপুরের ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার কাঁথিতে।পারিবারের আভিযোগ খুন করা হয়েছে। মৃতের শরীরে ও মাথার পিছন দিকে আঘাতের চিহ্ন আছে।
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: ভগবানপুরের (East Midnapur Bhagabanpur)ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার কাঁথিতে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, পারিবারের আভিযোগ খুন করা হয়েছে। এবং সেটি একটি পরিকল্পনা মাফিক খুন (Murder Case) বলেও দাবি পরিবারের।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার কুরালবাড় গ্রামের চুল ব্যাবসায়ী সেক রফিউল ১৬ তারিখ সকাল বেলা নগদ এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা নিয়ে হলদিয়াতে একটি বেসরকারি ভারতীয় লোন সংস্থার অফিসে টাকা জমা দিতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয় নিজের বাইক এ করে। নরঘাটে বাইক রাখার দোকানে বাইক রাখে। তারপরে আর তার কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। ১৬ তারিখ ওই ব্যবসায়ী বাড়িতে না ফেরায় পারিবারের লোক চিন্তিত হয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে। কোথাও খোঁজ না পেয়ে পারিবারের লোকজন ১৭ তারিখ ভগবানপুর থানায় মিসিং ডাইরি করে। ওই চুল ব্যবসায়ীর দেহ ১৮ তারিখ সন্ধ্যা নাগাদ কাঁথি হাসপাতালে পাওয়া যায়।
মৃতের শরীরে ও মাথার পিছন দিকে আঘাতের চিহ্ন আছে। পরিবারের লোকজনের আভিযোগ যে ওই চুল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে একটি বেসরকারি ভারতীয় লোন সংস্থার লোকজন নগদ এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা নিয়ে পরিকল্পনা মাফিক রফিউলকে খুন করেছে। পরিবারের লোকের আরও দাবি, মৃত সেক রফিকুল চুল ব্যবসার জন্য ওই কোম্পানি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিল। চুল সময় মতো বিক্রি না হওয়ায় লোনের কয়েকটা কিস্তি বাকি ও পড়ে গিয়েছিল। সেই জন্য লোন কোম্পানি থেকে বেশ কয়েকবার হুমকি ও দিয়েছিল। তায় সেক রফিউল পরিচিত কয়েক জনের কাছে এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা জোগাড় করে হলদিয়া লোন অফিসে লোনের টাকা দিতেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারপর আর ওই চুল ব্যবসায়ী বাড়িতে ফেরেনি।
আরও পড়ুন, 'উনি একা পাপের সঙ্গে যুক্ত নন', পার্থ-র কাছে বাকিদের নাম জানতে চাইলেন দিলীপ
সম্প্রতি আরও একটি ভয়াবহ খুনের খবর প্রকাশ্যে আসে। বাবা এবং বড় দাদার হাতে খুন হন মেজো ছেলে । এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভক্তিয়াডাঙ্গী এলাকায়। মর্মান্তিক ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকেই। প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমীর বালা নামে এক যুবক বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু গত দিন পাঁচেক আগে ওই এলাকায় ওই বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। এমন পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেশীরা ঘটনার কথা জানান চোপড়া থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনার কথা জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। যে জায়গা থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো শুরু করে। তারপরেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।