Bowbazar Metro:এখনও বাকি সিগানালিংয়ে কাজ, কবে ছুটবে হাওড়া থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো?
Kolkata Metro Trail Run: মঙ্গলবার সকাল ১১.২০ নাগাদ নিয়ন্ত্রিত গতিতে শিয়ালদা থকে রওনা দেয় মেট্রো রেকটি। এরপর ১১.৩১ নাগাদ সেটি পৌঁছয় এসপ্লেনেড মেট্রো স্টেশনে।

অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: অবশেষে বউ বাজারের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা দিয়ে ছুটল রেক। ট্রায়াল রান শুরু হল ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর পশ্চিম মুখী ট্য়ানেলে। সেই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্য়ানেজার-সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার সকাল ১১.২০ নাগাদ নিয়ন্ত্রিত গতিতে শিয়ালদা থকে রওনা দেয় মেট্রো রেকটি। এরপর ১১.৩১ নাগাদ সেটি পৌঁছয় এসপ্লেনেড মেট্রো স্টেশনে। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, পর পর কয়েকদিন এভাবেই মেট্রো চালিয়ে দেখা হবে এই অংশ বর্তমানে মেট্রো চালাবার উপযুক্ত কিনা। এমনকী রাতে গোটা রুট অর্থাৎ সেক্টর ৫ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চালিয়ে দেখা হয় কোনও সমস্য়া হচ্ছে কি না। পাশাপাশি মেট্রো রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই ট্য়ানেলে মূল নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, তবে বাকি রয়েছে সিগানালিং সহ একাধিক কাজ। সব ঠিক সময় মতো শেষ হলে এই বছরেরই প্রথমার্ধের মধ্য়ে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা পাবে শহরবাসী।
একদিকে যেমন আশার আলো, অন্য দিকে আশঙ্কা। বউবাজার মেট্রোর কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে তা জুড়বে ধর্মতলা থেকে হাওড়া ময়দান ও শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভের সঙ্গে জুড়বে। তবে, এরজন্য প্রয়োজন পৃথক সিগন্য়ালিং ব্যবস্থা। যা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। মেট্রো সূত্রে খবর, এই কারণে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৩ মার্চ - দেড় মাস সম্পূর্ণ বন্ধ থাকতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। মেট্রো সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে এক ফরাসি সংস্থার সঙ্গে। রেল বোর্ডকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কম সময়ে বা দু-ভাগে করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ব্যারাকপুরের সাংসদের উদ্য়োগে আশার আলো দেখছে নোয়াপাড়া থেকে ব্যারাকপুর মেট্রো। ২০১০ সালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নোয়াপাড়া থেকে ব্যারাকপুর মেট্রোর ঘোষণা করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে, এতগুলো বছরে বিন্দুমাত্র অগ্রগতি হয়নি কাজের। বলা ভাল, কাজ শুরুই হয়নি। নোয়াপাড়া থেকে ব্যারাকপুর মেট্রোয় বিটি রোড বরাবর লাইন হওয়ার কথা। কিন্তু বাধ সাধে বিটি রোডের নীচে টালা-পলতা জল প্রকল্পের ৬টি লাইন। সেসময় বলা হয়, এখান থেকে মেট্রো লাইন পাতা হলে ব্যাহত হতে পারে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জল সরবরাহ। সেই প্রকল্পই এতবছর পর সামান্য আশার আলো দেখছে ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকের রেলমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে। এই প্রকল্পের অগ্রগতি চাওয়ার পাশাপাশি শুধু ব্যারাকপুরই নয় কল্যাণী অবধি মেট্রোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। এবিষয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছে, জলের লাইন সরিয়ে আবার সেই পাইপ বসানোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব। ইতিমধ্য়েই সেই রিপোর্ট কলকাতা পুরসভায় পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠি যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ইঞ্জিনিয়ারদের পাঠিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন: Murshidabad Ram Mandir: আযোধ্যায় রামমন্দিরের বর্ষপূর্তিতে ভূমিপুজোর আয়োজন, সাজ সাজ রব সাগরদিঘিতে






















