Jiban Krishna Saha: নিয়োগ দুর্নীতিতে এত কোটি বাজেয়াপ্ত? টাকার অঙ্ক জানাল ED, শুভেন্দু বললেন, ‘৮০ শতাংশই গিয়েছে…’
SSC Scam Case: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে ED.

পার্থপ্রতিম ঘোষ, সুদীপ্ত আচার্য ও সৌমিত্র রায়: প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। নিয়োগ দুর্নীতির শিকড় কতটা গভীরে, তা নিয়ে আবারও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতির মামলা, তাতে এখনও পর্যন্ত ২৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে আদালতে জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নগদ টাকা এবং সম্পত্তি মিলিয়ে এই টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ED. আদালতে জমা দেওয়া নথিতে এমনটাই জানাল তারা। (SSC Scam Case)
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে ED. আর তার পরই আদালতে এমন তথ্য তুলে ধরল কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ২৩৮ কোটি টাকা শুনে হতবাক চাকরিহারারা। চাকরিহারা শিক্ষিকা মেহবুব মণ্ডল বলেন, "এত যে টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তা শুধুমাত্র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওঠা টাকা বলে মনে হয় না। ED-র উচিত অন্য দুর্নীতিগুলিকেও সামনে আনা।" (Jiban Krishna Saha)
শনিবার আদালতে যে নথি জমা দিয়েছে ED, তাতে বলা হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির সময়কালে জীবনকৃষ্ণ, তাঁর স্ত্রী টগর সাহা এবং অন্যদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়া টাকার অঙ্কই ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ঘুষের টাকায় একাধিক সম্পত্তি করেছেন জীবনকৃষ্ণ। যদিও তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তাঁর পরিবার বনেদি ব্যবসায়ী। জীবনকৃষ্ণের বক্তব্য, "আমরা ব্যবসায়ী পরিবারের লোক। বছরে ২ কোটি টাকার লেনদেন হয় আমাদের। ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। রেশন ডিস্ট্রিবিউটর আছে, রাইস মিল, আলুর কোল্ড স্টোরেজ আছে। আমরা বনেদি পরিবার।"
কিন্তু ED-র দাবি, জীবনকৃষ্ণ বৈধ সম্পত্তি বলে দাবি করলেও, বাবা ও স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বয়ানে পার্থক্য রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক এজেন্টের নামও সামনে এসেছে। ED জানিয়েছে, এখনও তদন্ত চলছে। তাহলে দুর্নীতির অঙ্ক কোথায় গিয়ে ঠেকবে, উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু তদন্তে বার বার যে 'মাথা'দের কথা উঠে এসেছে, তাঁরা কে, কবে তাঁদের নাগাল মিলবে, আদৌ মিলবে কি, তার উত্তর নেই।
যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, "মূল টাকা, ৮০ শতাংশ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চোর, তাঁর সরকার চোর। যাঁরা ভোটার তালিকা, SIR নিয়ে চিৎকার করছেন, তাঁদের বলব, 'চাকরি চোর, গদি ছোড়'।"
আদালতে ED জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭৫ জনকে চিহ্নিত করেছে তারা, যাঁদের থেকে 'অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার' পদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ।
এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। জীবনকৃষ্ণকেই নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মূল চক্রী হিসেবে দাবি করেছে তারা। বলা হয়েছে, তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। শাসকদলের বিধায়ক। জামিনে ছাড়া পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।






















