ED Raid:২০টি সম্পত্তির হদিশ, 'কালীঘাটের কাকু' সম্পর্কে ইডির তল্লাশিতে প্রকাশ্যে এল 'চাঞ্চল্যকর তথ্য
Recruitment Scam:'কালীঘাটের কাকু' সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল ইডির ম্যারাথন তল্লাশিতে। সূত্রের খবর, অন্তত ৩টি সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর।
![ED Raid:২০টি সম্পত্তির হদিশ, 'কালীঘাটের কাকু' সম্পর্কে ইডির তল্লাশিতে প্রকাশ্যে এল 'চাঞ্চল্যকর তথ্য ED Finds Property In At Least 20 Places After They Conducted Search About Sujaykrishna Bhadra ED Raid:২০টি সম্পত্তির হদিশ, 'কালীঘাটের কাকু' সম্পর্কে ইডির তল্লাশিতে প্রকাশ্যে এল 'চাঞ্চল্যকর তথ্য](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/05/21/2e596e0fb1f8e8e62fc4ec561635f76b1684652954951482_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: 'কালীঘাটের কাকু' সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল ইডির (ED Search) ম্যারাথন তল্লাশিতে। সূত্রের খবর, অন্তত ৩টি সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকার (Black Money) লেনদেন হত, দাবি তদন্তকারীদের একাংশের।
আর কী জানা গেল?
তদন্তকারীদের প্রশ্ন, ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমেই কি কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া চলত? গত কালের তল্লাশিতে অন্তত ২০ জায়গায় সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে খবর। তা ছাড়া ১৬ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে দেড় হাজার পাতার নথিও উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে প্রচুর হার্ডডিস্ক ও পেনড্রাইভও। তা ছাড়া সুজয়কৃষ্ণর ফোন-সহ ১১টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে খবর।
প্রেক্ষাপট...
'কালীঘাটের কাকু' অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বাড়িতে চলতি মাসের গোড়ার দিকে হানা দিয়েছিল সিবিআই। নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে সে বার তাঁর বাড়িতে আসে সিবিআই। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বাড়ি ঘিরে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিকে চাকরি বিক্রির জন্য কুন্তলের থেকে টাকা পৌঁছয় সুজয়কৃষ্ণর কাছে, দাবি সিবিআই সূত্রের । তার আগে, মার্চে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এই 'কালীঘাটের কাকু' শব্দবন্ধ প্রথমবার শোনা যায়, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির মুখে। তিনি বলেন, কালীঘাটে কাকুর কাছে টাকা পাঠাতে হবে। বারবার বলতেন কুন্তল ঘোষ। এরপর শুভেন্দু অধিকারী ট্য়ুইটারে লিখেছিলেন, ' কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা - সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতই ধোয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো। ' কিন্তু, এরপরেই প্রশ্ন ওঠে কে কালীঘাটের কাকু ? নাম বলেননি কেউ। সম্প্রতি তা খোলসা করেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। কিন্তু এই কাকুকে নিয়ে এত কেন টানাটানি? তাঁর কেন এত গুরুত্ব? সিবিআই সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বেশ কয়েকজনের কথায়, এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নাম উঠে আসায় তাঁকে তলব করা হয়।
সেদিন সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার পর 'কালীঘাটের কাকু' যদিও জানান, তিনি যা বলার বলেছেন তাদের। তাঁকে কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে, তা অবশ্য তিনি জানাননি । তবে CBI-সূত্রে তখনই দাবি করা হয়েছিল, সুজয়কৃষ্ণর নামে একাধিক কোম্পানি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬টি কোম্পানির তথ্য পাওয়া গেছে। এই কোম্পানিগুলি বিভিন্ন নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। এই কোম্পানিগুলির লেনদেন, কারা ডিরেক্টর রয়েছেন এবং এই কোম্পানিগুলো কী কাজ করত, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। CBI-সূত্রে দাবি করা হয়, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বয়ান খতিয়ে দেখা হবে এবং তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং গোপাল দলপতির বক্তব্যের সঙ্গে ক্রস ভেরিফিকেশন করার কথা। এরপরই ফের কালীঘাটের কাকুকে ডেকে পাঠায় সিবিআই।
আরও পড়ুন:মসৃণ-মোলায়েম ত্বক পেতে বছরভর চালু থাকুক পরিচর্যা, কীভাবে যত্ন করবেন?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)