ED Investigation On Bengal SSC Scam : কালো ডায়েরির রহস্য কী ? পার্থ-অর্পিতাকে আলাদা করে জিজ্ঞাসা, তারপর...
কী আছে ডায়েরিতে ? সাংকেতিক ভাবে কোন অদৃশ্য হাতের উল্লেখ ? পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আলাদা করে সিজার লিস্ট নিয়ে জেরা ED র ।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : টাকার পাহাড় দেখতে দেখতে হতবাক বঙ্গবাসী! কত টাকা...কত সোনা! এ যেন চিচিং ফাঁক...আর গুপ্তধন উদ্ধার! কী করে এত টাকা মজুত করা হল? কারা করল? এসব ঘিরে জোরাল প্রশ্নের মধ্যেই অবশেষে ৬ দিন বাদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এছাড়াও রহস্য ঘনীভুত হয়েছে তদন্তে পাওয়া ডায়েরি ঘিরে। কালো ডায়েরি, পকেট ডায়েরি ও এক্সিকিউটিভ ডায়েরি ! কী আছে ডায়েরিতে ? সাংকেতিক ভাবে কোন অদৃশ্য হাতের উল্লেখ ?
সিজার লিস্ট নিয়ে জেরা
এই বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee ) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee ) আলাদা করে সিজার লিস্ট নিয়ে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ( ED )। ইডি সূত্রে খবর, গতকাল সিজার লিস্টের প্রতিটি এন্ট্রি দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের বলা হয়, লিখিতভাবে সেই ব্যাখ্যা দিতে। ইডি সূত্রে খবর, এরপর দু’জনের সিজার লিস্ট নিয়ে ব্যাখ্যা মিলিয়ে দেখা হবে। যে ক্ষেত্রগুলিতে তাঁদের বয়ান মিলবে না, সেখানেই বক্তব্যে অসঙ্গতি আছে হিসেবে ধরা হবে। তারপর দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে ইডি। এখনও পর্যন্ত দুজনকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হয়নি।
মিলেছে ২টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নথি
এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের রথতলার যে ফ্ল্যাট থেকে ২৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেখানেই মিলেছে ২টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নথি। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইডি সূত্রে। ওই ২টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কাগজপত্র ইডির তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটের ঠিকানাই দেখানো হয়েছে ২টি কোম্পানির ঠিকানা হিসেবে। ইডির তদন্তকারীরা মনে করছেন, একাধিক রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে টাকা বিনিয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে। ইডি সূত্রে খবর, ২০১৭-তে কোম্পানি দুটি খোলা হয়। শেয়ার ক্যাপিটাল ১ লক্ষ টাকা। কোম্পানির শেষ মিটিং হয়েছিল ২০২১-এর ৩০ নভেম্বর।
শেষবার ব্যালান্স শিট ফাইল করা হয় ২০২১-এর ৩১ মার্চ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন ডিরেক্টরের নাম পাওয়া গেছে নথি থেকে। তার মধ্যে রয়েছে বিশ্বজিত্ রায়, দেবাশিস দেবনাথ ও অন্তিম গোস্বামী। এই ডিরেক্টরদের খোঁজ শুরু করেছে ইডি।