Cattle Scam: গরুপাচার মামলায় এবার আসানসোল জেল সুপারকে ED-র নোটিস
ED on Asansol Jail Super: গরুপাচার মামলায় আসানসোল জেলের সুপারকে তলব। ৫ এপ্রিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজিরার নির্দেশ।
পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোল জেল সুপার (Asansol Jail Super ) কৃপাময় নন্দীকে এবার ইডির নোটিস (ED Notice)। গরুপাচার মামলায় আসানসোল জেলের সুপারকে তলব। ৫ এপ্রিল দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে, হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১০ বছরের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, সম্পত্তির তথ্য নিয়ে আসানসোল জেল সুপার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেলে থাকাকালীন কেষ্টর ফোনে কথা বলার অভিযোগ নিয়েও প্রশ্ন করতে পারে ইডি।
শেষপর্যন্ত তিহাড় জেলেই ঠাঁই হল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) । প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সঙ্গে এবার তিহাড় জেলেই স্থান হচ্ছে কেষ্টর। গরুপাচারকাণ্ডে ধৃত বীরভূমরে তৃণমূল জেলা সভাপতিকে ২৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। অনুব্রত মণ্ডলকে তিহার জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট (Raus Avenue Court)।
তিহাড়-যাত্রা ঠেকাতে প্রথম থেকেই চেষ্টার কোনও কসুর করেননি অনুব্রত মণ্ডল। গত বছর ১১ অগাস্ট বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন, বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ১৭ নভেম্বর আসানসোল জেলেই, তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এই মামলায় ধৃত, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আগেই দিল্লি নিয়ে গেছে ইডি। বর্তমানে তিনিও তিহাড় জেলেই রয়েছেন।
গত বছর ১৯ ডিসেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে, ED-র আবেদনে ছাড়পত্র দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রতর আইনজীবী। একই আর্জি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টেও। কিন্তু, কোথাও সুরক্ষাকবচ না মেলায় শেষমেশ, দোলযাত্রার দিনেই দিল্লি যেতে হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে। আর এবার, আদালতের নির্দেশ তিহাড় জেলেই যেতে হল অনুব্রত মণ্ডলকে। ৩ এপ্রিল ফের আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রত মণ্ডল ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে।
অপরদিকে, গরুপাচার মামলায় গতকালই অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করে ইডি। দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল সুকন্য়ার গাড়ির চালক তুফান মিদ্যা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কৃপাময় ঘোষকে। সূত্রের খবর, এদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও লেনদেন সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এদিনই অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে বেনামি অ্যাকাউন্টের তদন্তে নেমে এই প্রথম কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল সিবিআই।
আরও পড়ুন, স্ত্রীকে 'খুন' করে ৩ টুকরো ! দিল্লির শ্রদ্ধা-কাণ্ডের ছায়া এবার বাংলায়
অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক বিজয় রজকের নামে খোলা ওই অ্য়াকাউন্টে এখনও ১৫ লক্ষ টাকা রয়েছে, যা তাঁর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বলে মনে করছে সিবিআই। এত টাকার উৎস কী? কে ওই টাকা রাখল? তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে ৩০০-র বেশি বেনামি অ্যাকাউন্ট খুলে গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে, সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে।