Recruitment Scam Case: এবার ইডির হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এসপি সিন্হা
Former SSC Chairman SP Sinha : এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এসপি সিন্হাকে ২০২২ সালে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আপাতত তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : এবার ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এসপি সিন্হা (Former Chairman of SSC SP Sinha)। গ্রেফতারের পর এসপি সিন্হাকে সোমবার পর্যন্ত হেফাজতে পেল ইডি। সোমবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরার পর এসপি সিন্হাকে শোন অ্যারেস্ট দেখায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত এসপি সিন্হা।
এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এসপি সিন্হাকে ২০২২ সালে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আপাতত তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। অভিযোগ, অ্যাডভাইসরি কমিটি যারা মূলত নিয়োগ করত, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিপুল দুর্নীতি করা হয়েছিল। এসপি সিন্হার নামে এর আগেও একাধিকবার সিবিআইয়ের তরফে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতারের দুই বছরের মাথায় আরও একটি কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি আজ তাঁকে সোমবার পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে পেল।
এসএসসি মামলায় এই প্রথম ইডি তাঁকে হেফাজতে পেল। সোমবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরার পর এসপি সিন্হাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। গতকাল ইডির বিশেষ আদালতে তাঁকে সশরীরের হাজির করানোর আবেদন করা হয়েছিল। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে ইডির তরফে তাঁকে সোমবার পর্যন্ত হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। যা মঞ্জুর করেছে আদালত।
নিয়োগ-দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) মামলার চার্জশিটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করেছিল সিবিআই (CBI)। পাশাপাশি এই চার্জশিটে বলা হয়েছিল, শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যেই, শান্তিপ্রসাদ সিন্হাকে SSC’র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। দুর্নীতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদেরও ষড়যন্ত্রমাফিক সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের নিয়োগে দুর্নীতির মামলায়, ইডির হাতে প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক তারপরই সিবিআইয়ের গ্রেফতার হন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২৩ জুলাই ১৯ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর নাকতলার বাড়ি থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ED। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাটে মিলেছিল গুপ্তধনের খোঁজ। ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। বেলঘরিয়ার ফ্ল্য়াট থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৩০ কোটি নগদ ও কয়েক কোটি টাকার গয়না। হদিশ মেলে পার্থ ও অর্পিতার নামে একাধিক ফ্ল্য়াট, বাংলো, বাগানবাড়ির।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।