Money Laundering : এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কয়লার টাকা পাচারের চেষ্টা করছিলেন, বালিগঞ্জে অর্থ উদ্ধার নিয়ে বিস্ফোরক দাবি ইডি-র
ED Claim on Money Recovered : কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, এক মন্ত্রীর কালো টাকা সাদা করার দায়িত্বেও ছিলেন ওই ব্যবসায়ী।
আবির দত্ত ও প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : বালিগঞ্জে বিপুল অর্থ উদ্ধারের পর এবার ফের জড়াল রাজনৈতিক যোগের অভিযোগ। ইডির (Enforcement Directorate) তরফে বিবৃতি জারি করে বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, এক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব কয়লা পাচারের টাকা সাদা করার চেষ্টা করছিলেন। এক মন্ত্রীর কালো টাকা সাদা করার দায়িত্বে ছিলেন ব্যবসায়ী মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়াল।
বিস্ফোরক দাবি ইডি-র
বালিগঞ্জে নির্মাণ সংস্থার অফিস থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধারের বিস্ফোরক দাবি করল ইডি (ED)। প্রেস বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কয়লার টাকা পাচারের চেষ্টা করছিলেন। ব্যবসায়ী মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়ালের মাধ্যমে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল, দাবি ইডি-র।
জমির দরেও কারসাজি !
কয়লার টাকায় একটি সম্পত্তি কেনা হয়, খবর ইডি সূত্রে। ভবানীপুরের চক্রবেড়িয়া রোডে সেই ১০ কাঠা জমির বাজারদর ছিল ১২ কোটি টাকার বেশি। ডিডে দেখানো হয়, ওই জমি বাজার দরের থেকে কমে ৩ কোটি টাকায় কেনা হয়েছে। এই ৩ কোটি কয়লা পাচারের টাকা বলে মনে করছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, গতকাল আলিপুরে এই জমি রেজিস্ট্রি হয়। সেই তথ্য জানার পরেই, বালিগঞ্জে নির্মাণকারী সংস্থা গজরাজ গ্রুপের অফিসে অভিযান চালায় ইডি। উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা জমি বিক্রির বাকি ৯ কোটি টাকার একটা অংশ, দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এক মন্ত্রীর হয়ে বেআইনি টাকা লেনদেনেও যুক্ত ছিলেন মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়াল ।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, এক মন্ত্রীর কালো টাকা সাদা করার দায়িত্বেও ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। পুরো বিষয়ের গোড়ায় পৌঁচে যেতে তদন্তের গতি বাড়াতে চাইছে ইডি। তাদের তরফে যে বাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধার হয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজের হার্ডডিস্ক সংগ্রহ করেছে।
এদিকে, কলকাতায় ফের একবার টাকার পাহাড় উদ্ধার ও সেখান রাজনৈতিক রঙ লাগায় চড়ছে রাজনৈতিক তরজাও। মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়াল তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি, ট্যুইটে ছবি দিয়ে দাবি সুকান্ত মজুমদারের। মাননীয়া কি হিন্দি শেখার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করেছেন, খোঁচা বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
আরও পড়ুন- ওএমআর শিটে গুপ্ত সঙ্কেত? প্রশ্ন-উত্তরের মধ্যেই লুকিয়ে দুর্নীতির রহস্য? বিস্ফোরক ইডি