Recruitment Scam Case: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর বিরুদ্ধে চার্জশিট ED-র !
Chandranath Sinha : মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর দু'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেড় কোটি টাকা জমা পড়েছে। এই টাকা জমা পড়েছিল ২০১৬-২০২১-এর মধ্যে, এমনই খবর ED সূত্রে।

প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ED। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর দু'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেড় কোটি টাকা জমা পড়েছে। এই টাকা জমা পড়েছিল ২০১৬-২০২১-এর মধ্যে, এমনই খবর ED সূত্রে।
বিস্তারিত
প্রথম থেকেই ইডি-র তরফে অভিযোগ আনা হচ্ছিল, চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ি থেকে যে ৪০ লক্ষ টাকা তারা বাজেয়াপ্ত করেছিল, তার কোনও হিসাব তিনি দিতে পারেননি। গত বুধবার সন্ধেয় যে চার্জশিট জমা পড়েছে, তাতে ইডি-র তরফে একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পেশ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা দাবি করেছে, চন্দ্রনাথ সিনহার দু'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বোলপুরে। তাঁর নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট যখন ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া হয়, সেটা খতিয়ে দেখা যায় যে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল, এই পাঁচ বছরের মধ্যে চন্দ্রনাথ সিনহার এই দু'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় দেড় কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছে। ক্যাশ ডিপোজিট হয়েছে। এই তথ্য সামনে রেখে ইডি-র তরফে দাবি করা হচ্ছে, যখন চন্ত্রনাথ সিনহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনি কোনও সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। টাকা কোথা থেকে এল সেটার উৎস তিনি জানাতে পারেননি। কেন ইডি আধিকারিক মনে করছেন, এই টাকা চাকরি বিক্রির টাকা ? ইডির তরফে দাবি করা হচ্ছে, ঠিক সেই সময় চন্দ্রনাথ সিনহার নামে কুন্তল ঘোষের যে ডায়েরি রয়েছে, সেই ডায়েরিতে তাঁর নাম লেখা রয়েছে। টাকার হিসাব লেখা হয়েছে। সবমিলিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে চার্জশিটে।
প্রেক্ষাপট
২০২২ সালের জুলাই মাস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি। সারা বাংলায় সাড়া ফেলে দেওয়া ঘটনা। একসঙ্গে এমন টাকার পাহাড় দেখা যায় যা বাঙালির কাছে বিরল তো বটেই। কোটি কোটি টাকা গুণতে গুণতে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায়। তার পর কেটে যায় অনেকটা সময়। এরপর ২০২৪ সালে জুলাই মাসে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি ( Recruitment Scam ) মামলায় রাজ্যের আরও এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয় বলে দাবি করে ED। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে বোলপুরের নায়েক পাড়ায় চন্দ্রনাথ সিন্হার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ED সূত্রে তখন দাবি করা হয়েছিল, মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা। টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে চন্দ্রনাথ সিন্হা সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি বলে ED-র দাবি ছিল। ED সূত্রে আর জানা যায়, চন্দ্রনাথ সিন্হার বাড়ি থেকে নগদ টাকা ছাড়াও মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ নথি। তাঁর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়।






















