JU New VC: শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে, দায়িত্ব পেয়ে প্রতিক্রিয়া যাদবপুরের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের
Jadavpur University: ৯ আগস্ট রাতে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় যাদবপুরের পড়ুয়া। ১০ অগাস্ট ভোরে মৃত্যু হয় নদিয়ার বাসিন্দা ওই নাবালকের।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়েরই অঙ্কের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউয়ের নামে সিলমোহর রাজভবনের। ৯ আগস্ট রাতে হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় যাদবপুরের পড়ুয়া। ১০ অগাস্ট ভোরে মৃত্যু হয় নদিয়ার বাসিন্দা ওই নাবালকের। ঘটনার ১০ দিন পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য।
যাদবপুরে অন্তর্বর্তী উপাচার্য: নতুন দায়িত্ব পেয়ে কী প্রতিক্রিয়া অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউয়ের? তিনি বলেন, "একটা সঙ্কট চলছে। আমার ধারণা শিক্ষক, ছাত্র, শিক্ষা কর্মী সবার সঙ্গে আলোচনা করে সবটা ঠিক রাখতে হবে। শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। নিরাপত্তার দিকটাও একটা বড় বিষয়। দায়িত্বর ক্ষেত্রে বাইরে থেকে বলা আর ভেতর থেকে দেখা দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। দায়িত্ব পেয়ে দেখতে হবে প্রশাসনকে কোনটা গুরুত্ব দিচ্ছে। অ্যান্টি স্কোয়াড আর কমিটির ভূমিকাটা দেখতে হবে।''
যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা রাজ্য। অশান্তির আবহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেই। যাদবপুরে পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার দফায় দফায় জেরার পর গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক প্রাক্তনীকে। ধৃতের নাম জয়দীপ ঘোষ। এই আবহেই অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বুদ্ধদেববাবু। শনিবার রাতে রাজভবনের তরফে বুদ্ধদেববাবুকে নিয়োগের কথা জানানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজভবনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী এবং পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, ওয়েবকুপার ট্রেজারার ছিলেন বুদ্ধদেববাবু। বিজেপি-র অধ্যাপক সংগঠনের নেতা তিনি। রাজভবনের তরফে তাঁকে নিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এবিপি আনন্দে সেই নিয়ে মুখ খোলেন বুদ্ধদেববাবু। তিনি বলেন, "সত্য-মিথ্য়ের বিচারে যাব না, এগুলো খারাপ কথা। ওঁরা তো মানুষ হিসেবে দেখতেই চাইছেন না আমাকে! এটা নিয়ে কেন প্রশ্ন থাকবে, বুঝতে পারছি না। প্রত্যেকেই তো কোনও না দল করেন, কেউ তৃণমূল, কেউ সিপিএম, কেউ SUCI. হঠাৎ এগুলো কেন মাথায় ঘুরছে জানি না।"