(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Fact Check: বগটুইয়ের ছবি নিয়ে অপপ্রচার, সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে ইন্ধন, সতর্ক করল পুলিশ
Fact Check: ভুয়ো খবর যাচাই সংস্থা (Fact Check) অল্ট নিউজ এবং অন্য একাধিক সংস্থাও বিষয়টির সত্যতা তুলে ধরেছে।
কলকাতা: বগটুইকাণ্ডের (Rampurhat Fire) আঁচ পৌঁছেছে দিল্লির সংসদভবনেও। সেই পরিস্থিতিতেই গোটা ঘটনায় বিদ্বেষের আগুন ছড়াচ্ছে নেটমাধ্যমে। এক বছর আগে ওড়িশার বাস দুর্ঘটনার ছবিকে বাংলায় হিন্দুদের অপর নারকীয় হত্যা বলে ছড়িয়েছে নেটমাধ্যমে। কোথাও আবার বগটুইয়ের পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া বাড়িগুলিকে বাংলায় হিন্দুদের বাড়ি বলে ছড়ানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ (West Bengal Police) বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করল।
— West Bengal Police (@WBPolice) March 23, 2022
বগটুইকাণ্ডে উত্তাল রাজ্যসভা
গত সোমবার রাতে বীরভূমের (Birbhum Violence) রামপুরহাটের বগটুইয়ে খুন হন তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। জাতীয় সড়কের ধারে দোকানে চা পানের সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে একদল দুষ্কৃতী। তাতে মৃত্যু হয় ভাদু শেখের। তার পর বগটুই গ্রামে ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে দুই শিশু-সহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
पश्चिम बंगाल में हुआ हिंदुओंका नरसंहार १९४६ के नौखाली की याद दिलाता है| पश्चिम बंगाल अब भी सोया हुआ है| हिंदुओ जागो, नही तो भविष्य मे ‘पश्चिम बंगाल फाईल्स’ बनेगी| #BengalBurnings #जागो_हिन्दू_जागो pic.twitter.com/0uMjhrr0eR
— Ranjit Savarkar (@RanjitSavarkar) March 23, 2022
সেই নিয়ে যখন উত্তাল বাংলার রাজনীতি, সেই সময়ই বগটুইয়ের ঘটনাকে বাংলায় হিন্দুদের উপর অত্যাচার বলে চালিয়ে দেওয়ার ঘটনা চোখে পড়েছে (Fake News)। একই ভাবে ‘স্বতন্ত্রবীর সাভারকর রাষ্ট্রীয় স্মারক’ সংগঠনের চেয়ারম্যান রঞ্জিত সাভারকরও টুইটারে বাংলায় হিন্দু নরসংহার হচ্ছে বলে দাবি করেন।
আরও পড়ুন: Birbhum Violence: রামপুরহাটে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, কটাক্ষ বিরোধীদের
টুইটারে রঞ্জিত সাভারকর লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নরসংহার নৌখালির স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ এখনও ঘুমিয়ে রয়েছে। হিন্দুরা জেগে উঠুন। নইলে ভবিষ্যতে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফাইলস’ তৈরি হবে।’
২০২০-র নভেম্বর মাসে ওড়িশায় বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে একটি বাসে আগুন ধরে যায়। তাতে বেস কয়েক জনের মৃত্যুও হয়। সেই ঘটনার ছবিকেও বাংলার বলে চালানোর ঘটনা চোখে পড়ছে নেটমাধ্যমে। ভুয়ো খবর যাচাই সংস্থা (Fact Check) অল্ট নিউজ এবং অন্য একাধিক সংস্থাও বিষয়টির সত্যতা তুলে ধরেছে।