Fake Document Case: ভুয়ো ভোটার কার্ড দিয়ে আসল আধার ! মুদিখানার আড়ালে সমীর দাসের জাল নথির কারবারের রমরমা
Fake Passport Case: বারাসাতের নবপল্লীতে রয়েছে সমীর দাসের মুদিখানার দোকান। আর এই দোকানের আড়ালেই চলত জাল নথির ব্যবসা। দোকানে ছিল ফটোকপির মেশিনও। আর সেখানেই ভিড় জমাতেন প্রচুর লোক।

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : বারাসাতে মুদিখানার আড়ালে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানানোর কারবার চালাতেন পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে ধৃত সমীর দাস। স্থানীয়দের দাবি, বছর খানেক আগে মুদিখানা খোলেন সমীর। দোকানের একপাশে ফোটোকপির মেশিন। মুদিখানার থেকেও সমীরের ফোটোকপির ব্যবসারই রমরমা ছিল। ভিড় লেগেই থাকত, খদ্দেরদের সঙ্গে বাঙাল ভাষায় কথা বলতেন সমীর। স্থানীয়দের দাবি, এর পাশাপাশি, ফ্ল্যাট- বাড়িভাড়ার ব্যবস্থাও করে দিতেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বাংলাদেশিদের জন্য আস্তানারও বন্দোবস্ত করে দিতেন সমীর?
নতুন ভোটার তালিকায় নাম নেই তো বাংলাদেশের নাগরিকদের? যেভাবে ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি হয়েছে, তাতে ভুয়ো ভোটারও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। অনুপ্রবেশকারীদের জন্য ভুয়ো ভোটার কার্ড তৈরি করতে, বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করতেন ধৃত সমীর দাস। প্রথমে আসল ভোটার কার্ডের ছবির বদলে লাগানো হত বাংলাদেশের নাগরিকদের ছবি। এভাবেই রাশি রাশি ভুয়ো ভোটার কার্ড বানানো হত। এই ভোটার কার্ড দিয়েই তৈরি হত আসল আধার কার্ড। এই আধার কার্ড দেখিয়ে আসল ভোটার কার্ড বানিয়ে ফেলতেন বাংলাদেশের নাগরিকরা, খবর পুলিশ সূত্রে।
বারাসাতের নবপল্লীতে রয়েছে সমীর দাসের মুদিখানার দোকান। আর এই দোকানের আড়ালেই চলত জাল নথির ব্যবসা। দোকানে ছিল ফটোকপির মেশিনও। আর সেখানেই ভিড় জমাতেন প্রচুর লোক। মুদিখানার দোকানের বদলে বেশি চলত ফটোকপির ব্যবসা। বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের হাতে দ্রুত নথি ধরিয়ে দিতে একদম 'এক্সপার্ট' ছিলেন ধৃত সমীর দাস। সেই জন্য বাংলাদেশেও বেশ নামডাক হয়েছিল তাঁর। জাল নথির কারবারে সমীর দাসের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও লোক যুক্ত ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সমীর দাসের যেকজন সহযোগী গ্রেফতার হয়েছে তাঁদের জেরা করে জানা গিয়েছে, মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে ওই ব্যক্তিদের জাল নথির কারবারে যুক্ত করেছিলেন সমীর।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মুদিখানার ব্যবসা প্রথমে ভাল চললেও ইদানীং রমরমা ছিল ফটোকপির ব্যবসার। সেই সঙ্গে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাটের দালালিও করতেন সমীর দাস। বাড়িভাড়া দেখে দিয়েছেন অনেককেই। বাইরে থেকে প্রচুর লোক সমীর দাসের ফটোকপির দোকানে এসে ভিড় জমাতেন। মাঝে মধ্যেই চিৎকার চেঁচামেচিও হতো। মূলত কথা হতো বাঙাল ভাষায়। তবে মুদিখানার আড়ালে ফটোকপির ব্যবসা এবং জমি-বাড়ির দালালির মাধ্যমে সমীর দাস যে এভাবে প্রতারণা ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের হাতে চোখের নিমেষে তুলে দিতেন নথি- এইসব 'কীর্তি' ঘুণাক্ষরেও টের পাননি স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- পাটের দড়ি তৈরির কারখানার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন, লেলিহান শিখা নিমেষে গ্রাস করল সব
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
