Fake Documents: জাল নথিকাণ্ডে বারাসাত থেকে গ্রেফতার আরও ২, এখনও পলাতক ১
Fake Document: জাল নথিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন সমীর দাস। এবার গ্রেফতার তাঁর আরও ২ সঙ্গী।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : জাল নথিকাণ্ডে বারাসাত থেকে গ্রেফতার আরও ২। মুহুরি পরিচয়ে জালিয়াতির অভিযোগে ধৃত সমীর দাসের আরও ২ সহযোগী গ্রেফতার। এঁরা দু'জনেই সমীর দাসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে জানা গিয়েছে। গতকাল রাতেই একজনকে বারাসাত থেকে এবং আরেক ব্যক্তিকে অন্য জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই দুই ব্যক্তিই যাবতীয় নথি তৈরি করত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, সমীর দাসের আরও এক সঙ্গী পলাতক। এই দু'জনকে আজ বারাসাত আদালতে পেশ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।
বারাসাতের নবপল্লী, যেখানে সমীর দাসের বাড়ি, সেখানেই বাড়ি ছিল তাঁর এক সহযোগীর। সেই ব্যক্তিই যাবতীয় নথি এবং হিসাপত্র রাখতে বলে জানা গিয়েছে। সমীর দাসের গ্রেফতারির পর থেকে পলাতক রয়েছেন তিনি। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে বারাসাত থানার পুলিশ। বর্তমানে বারাসাতের নবপল্লীতে প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে সমীর দাসের। প্রতিবেশীরা বলছেন, এক বছর আগেও সমীর দাসের একতলা বাড়ি ছিল। বছর ঘুরতেই সেই বাড়ি পরিণত হয় সুবিশাল অট্টালিকায়। সমীর দাস যে জাল নথির কারবারে যুক্ত তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি প্রতিবেশীরা। তাঁরা জানতেন সমীর দাস বারাসাত আদালতে মুহুরির কাজ করতেন। সঙ্গে একটি ছোট মুদির দোকান ছিল তাঁর। এক ছেলে দন্ত চিকিৎসক। অন্যজন পুলিশের কনস্টেবল। যদিও তাঁর পোস্টিং কোথায়, প্রতিবেশীদের কেউই তা জানেন না। করোনাকাল থেকে সমীর দাসের কারবার, অর্থাৎ জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডের রমরমা শুরু হয়। কিন্তু টের পাননি কেউই।
ক্রমশ ফাঁস হচ্ছে পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের জাল। অভিযোগ, জাল নথি তৈরি করতে একেবারে রেটচার্ট বেঁধে দিয়েছিলেন ধৃত সমীর দাস। এক একটি জাল নথির রেট ছিল এক একরকম। যেমন ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করতে গেলে ১৫ হাজার টাকা। বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য ১২ হাজার টাকা। প্যান কার্ডের জন্য রেট ছিল ৩ হাজার টাকা। পুলিশ সূত্রে দাবি, মেডিক্যাল ভিসা বা ট্যুরিস্ট ভিসায় এদেশে আসা বাংলাদেশের নাগরিকদের খুব সহজেই ভারতের বিভিন্ন নথি তৈরি দিতেন সমীর দাস। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে পুলিশের দাবি, ধৃতকে জেরা করে তারা জানতে পেরেছে, বাংলাদেশের একাধিক এজেন্টের সঙ্গে সমীর দাসের যোগাযোগ ছিল। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাল নথি তৈরি করে দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে ফোন আসত। সবাইকে কম পয়সায় জাল নথি বানিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতেন তিনি।