(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Asansol News: বাইকে ঝোলানো বালতিই কাল হল ! আসানসোলে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাবা ও মেয়ের
পুরুলিয়া থেকে আসানসোল আসার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন বাবা ও মেয়ে। আশঙ্কাজনক স্ত্রী।
কোশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান: পুরুলিয়া থেকে আসানসোল আসার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন বাবা ও মেয়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ঐ ব্যাক্তির স্ত্রীকে। একটি বাইকে পুরুলিয়া থেকে ৩ জনেই যাচ্ছিলেন আসানসোলের দিকে। এই সময়ই একটি লরির সঙ্গে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল উত্তর থানার দু-নম্বর জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড় সংলগ্ন এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই লরি-সহ চালককে পাকড়াও করেছে ট্রাফিক পুলিশ।
আরও পড়ুন
'বিজেপির উপর হামলাকারীরাই এখন জেলা কমিটিতে', ক্ষোভ উগরে পদত্যাগ পদ্ম নেতার
জানা গিয়েছে, মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন ওই দম্পতি। বাইক সফরে আসার পথেই ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই দুর্ঘটনার মূলে রয়েছে একটি বালতি। আজ্ঞে হ্যাঁ, সামান্য বালতি ভয়াবহ দুর্ঘটনার উৎস বলে অনুমান করা হয়েছে। মূলত বাইকের হ্যান্ডেলে ঝোলানো ওই বালতিতে বেধেই গোলমাল বাঁধে। বালতিতে টান লেগেই ভারসাম্য হারায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। উল্টো দিক থেকে ছুটে আসা ভারী লরির গতিবেগের কাছে হার মানে বাইক। আর এরপরেই মুহূর্তেই ঘটে যায় বড়সড় দুর্ঘটনা। পুরুলিয়া থেকে আসানসোল আসার পথে আর বাড়ি ফেরা হয়নি বাবা ও মেয়ের। ঘটনাস্থলেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাবা ও মেয়ে। এদিকে মায়ের প্রাণ বাঁচলেও, এই মুহূর্তে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি।
প্রত্যক্ষদর্শী মারফত জানা গিয়েছে, বাইকের পিছনই আসছিল একটি ভারী লরি। এদিকে বাইকে সওয়ারি ছিলেন মেয়ে সহ এক দম্পতি। তাঁদের বাইকে ঝোলানো ছিল একটি বালতি। এবং ওই বালতিই কোনওভাবে বাইকের হ্যান্ডেলে বেধে চাকার কাছাকাছি চলে আসে। এবং বাইকটি তৎক্ষণাত ভারসাম্য হারায়। এদিকে ভারসাম্য হারালেও দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে চেষ্টা করলেও কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ততক্ষণ তীরে বেগে পিছনে থাকা লরিটি এগিয়ে আসে। এবং বাইকটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবা ও মেয়ের। এদিকে প্রাণে বাঁচলেও স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার পর পরই ধাওয়া করে ওই লরিটিকে ঘেরাও করা হয় এবং পাকড়াও করা হয় চালকটিকেও। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।