Calcutta Medical College: কলকাতা মেডিক্যালে অগ্নিকাণ্ড, আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেন স্বাস্থ্য সচিব
কলকাতা মেডিক্যালে অগ্নিকাণ্ড, আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেন স্বাস্থ্য সচিব
কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Calcutta Medical College and Hospital) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা স্বাস্থ্য সচিবের। জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অঞ্জন অধিকারী।
ঠিক কী হয়েছিল? গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় মেডিক্যাল কলেজের MCH বিল্ডিংয়ে চারতলায় HIV চিকিৎসার আউটডোরে আগুন লাগে। চারতলায় হেমাটোলজি বিভাগের রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর দমকলের ৬টি ইঞ্জিনের একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গতকালই ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ফরেন্সিক দল ও গোয়েন্দা পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। শর্ট সার্কিট অথবা আতসবাজি দরজায় লেগে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
ঘটনাস্থলে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। উল্লেখ্য এমসিএইচ এই বিল্ডিংয়ে হেমাটোলজি, মেডিসিন, কার্ডিওলজি বিভাগও রয়েছে। আগুন লাগার ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। কী থেকে আগুন লেগেছে তা দমকলের তরফে থেকে বলা হয়নি। তবে তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে মেডিক্যাল কলেজের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ করেছে। সামলে আনা গিয়েছে আগুনের ঘটনা। পরে কলকাতা পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে যান।
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সব ঘর ফাঁকা করে দেওয়া হয়। অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছিল এলাকা। পরে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। ঝাঁঝালো গন্ধের ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল এলাকা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, 'ভীষণ ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। আমরা ধোঁয়া দেখলাম। ধোঁয়া দেখে সরে এলাম।'
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Medical College Fire) ভাইস প্রিন্সিপাল অঞ্জন অধিকারী বলেন, 'একটু ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। আমাদের হেমাটোলজিতে কিছু এসি গড়বড় করছিল। এর আগেও ধোঁয়া বেরনোর ঘটনা ঘটেছিল। PWC, সিভিল সবাইকে দেখানো হয়েছিল। সব ঠিক ছিল। যদিও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমরা সব দেখছি। হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই সব সামলে আনা যাবে। আমরা দেখছি কী করা যায়।'
গতকালই আরও একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলল গ্রামে। ভাঙচুর করা হল একের পর এক বাড়ি। লাগানো হল আগুন। কিন্তু, এতটা সময় পেয়েও পুলিশ তা আটকাতে পারল না কেন? জয়নগরকাণ্ডে সেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। পুলিশে আস্থা রাখতে না পেরে, বাড়ি ছেড়ে যেতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীদের অনেকে।
আরও পড়ুন: Kalipuja: অনুব্রতহীন পুজো যেন জৌলুসহীন, ৫০০-এর বদলে ১০০ ভরি গয়নায় সাজল মা!