Moyna Arrest:ময়নার বিজেপি নেতা খুনে প্রথম গ্রেফতারি
BJP Leader Murder:ময়নার বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে প্রথম গ্রেফতারি। ধৃতের নাম মিলন ভৌমিক। তিনি তৃণমূলের কর্মী বলে পুলিশের দাবি। ময়নার বাকচা গ্রাম থেকেই গ্রেফতার মিলন।
আবির দত্ত, পূর্ব মেদিনীপুর: ময়নার (Moyna BJP Leader Murder Case) বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে প্রথম গ্রেফতারি (First Arrest)। ধৃতের নাম মিলন ভৌমিক। তিনি তৃণমূলের কর্মী বলে পুলিশের দাবি। ময়নার (Moyna) বাকচা গ্রাম থেকেই গ্রেফতার মিলন। হামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি, দাবি পুলিশের।
যা জানা গেল...
পরিবার সূত্রে খবর, তারা বিজয়কৃষ্ণের খুনে অভিযুক্ত সন্দেহে ৩৪ জনের নাম দিয়েছিল। এর মধ্যে ২৬ নম্বরে নাম ছিল মিলন ভৌমিকের। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এমনকি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও। পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বেশ কয়েকজন এসে নৃশংস ভাবে মারধর করে হত্যা করে বিজেপি করে। তাদের দাবি, যারা এটা করেছিল তাদের মধ্যে মিলনও ছিলেন। খুন, অপহরণ, সংঘটিত অপরাধ-সহ একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আজই আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। হেফাজতে চাইবেন পুলিশ আধিকারিকরা। যদিও গত কালই পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, ৩ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছিল। বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে।
প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা...
বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের ঘটনায় গত কালই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল পুলিশের ভূমিকা। বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন তাঁর স্ত্রী। বলেন, "পুলিশ বলেছিল, এটা কি মামার বাড়ির আবদার নাকি ? যা খুশি তাই। যখন খুশি ডাকবে, তখন চলে যেতে হবে ! জিডি-অভিযোগ কিছুই নেয়নি। বারবার বলার পরেও খুঁজতে আসেনি পুলিশ।" যদিও গুলিতেই বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে আদালতে গত কাল জানায় রাজ্য। স্ত্রী ও ছেলের সামনেই বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ-খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃত বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া বাকচায় বিজেপির ২৩৪ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। এদিকে গত কালই শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, পরিবারের অনুমতি ছাড়াই গতকাল জোর করে ময়নাতদন্ত করিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিশেষ দল গঠন করে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে হবে ময়নাতদন্ত। রাজ্যের ২ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকতে পারবেন। চাইলে থাকতে পারবেন পরিবারের সদস্যরাও। জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবার ও ময়না থানাকে দেবে কমান্ড হাসপাতাল। তমলুক হাসপাতালে পরিবারকে দেহ দেখিয়ে অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় মৃতদেহ কলকাতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ফেরত নিয়ে যেতে হবে। ৪ সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকবে পরিবার। আগামী সোমবারের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে মৌরী? রোজের মেনুতে উপকরণ রাখলে আর কী কী উপকার পাবেন?