(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Alipurduar News: তেইশে হাতির হানায় হারিয়েছিলেন স্বামীকে, মৃত-র স্ত্রীকে নিয়োগপত্র দিল বন দফতর
Buxa Employment Letter: হাতির হানার জেরে গতবছর হারিয়েছিলেন স্বামীকে। এবার মৃতের স্ত্রীকে 'ফরেস্ট ভলেনটিয়ার' হিসেবে কাজের নিয়োগপত্র দিল বন দফতরের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প।
অরিন্মদ সেন, আলিপুরদুয়ার: বন্য প্রাণীকে রক্ষা করতে গিয়ে অনেকেই আহত হন প্রতিবছর। কখনও দাঁতাল লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব করে। তাকে থামাতে গিয়ে গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনা ভুরিভুরি। তবে প্রাণ হারানোর ঘটনাও নেহাত কম নয়। এবার হাতির হানায় মৃত্যু হওয়া চা বাগান শ্রমিকের স্ত্রীকে বন দফতরের 'ফরেস্ট ভলেনটিয়ার' হিসেবে কাজের নিয়োগপত্র দিল বন দফতরের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প।
জানা গিয়েছে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প সংলগ্ন কালচিনি ব্লকের চিনচুলা চা বাগানের শ্রমিক রনজিৎ ওরাও-এর হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে রনজিতের অকাল মৃত্যুতে রোজগারহীন হয়ে পড়েছিল তার স্ত্রী এবং সদ্যজাত কয়েক মাসের শিশু। সেই মানবিক পরিস্থিতির দিক বিচার করে আজ বক্সা বনদপ্তর সরকারি পূনর্বাসন স্কিম,'দ্য ওয়েষ্ট বেঙ্গল স্কিম ফর রিহেবিলিটেশন বাই প্রোভাইডিং এমপ্ল্যমেন্ট এসিস্টেন্স, ২০২৩' এর মাধ্যমে মৃত রনজিত ওরাও-এর স্ত্রী লালো মুন্ডার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিল।লালো মুন্ডা বন দফতরের'ফরেস্ট ভলেনটিয়ার' হিসেবে কাজে যোগ দিলেন, বলে জানান বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প পশ্চিম বিভাগের উপক্ষেত্র অধিকর্তা পারভীন কাসওয়ান। তিনি জানান, হাতির আক্রমণে এই ধরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বনদপ্তরেই কাজের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গতবছরের শেষে উত্তরবঙ্গে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। টুকরিয়া ঝাড় বনাঞ্চলে জ্বালানি কাঠ নিতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা এলাকায়। মৃত মহিলার নাম গৌরি অধিকারী। সে ওই এলাকারই বাসিন্দা। জানা গিয়েছিল জ্বালানি কাঠ নিতে জঙ্গলে ভেতরে ঢুকেছিলেন কয়েকজন মহিলা। ভেতরে ঢুকতে গিয়েই হাতির কবলে পড়ে গিয়েছিলে তারা। তবে বাকিরা পালাতে সক্ষম হলেও মুখে পড়ে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল মহিলার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় টুকরিয়া ঝাড় বনাঞ্চলে রেঞ্জার সহ বনকর্মীরা ও পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উওরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পাঠানো হয়েছিল সেবার।
আরও পড়ুন, দেশের মধ্যে সপ্তম, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পরীক্ষায় বড় সাফল্য বাঁকুড়ার বাসিন্দার
এর আগেও রাজ্যের অন্য প্রান্তে একটি খবর এসেছিল। সেখানেও হাতির তাণ্ডবের ছবি ধরা পড়েছিল। ঝাড়গ্রাম ব্লকের কলসিভাঙা এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বনদফতর এর গাড়ি ভেঙেছিল একটি দল ছুট দাঁতাল হাতি। জানা গেছে ঘটনার দিন সকাল থেকে একটি দলছুট হাতি ঝাড়গ্রাম ব্লকের কলসিভাঙ্গা এলাকায় গিয়ে তান্ডব চালায়। মাঠে গিয়ে ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি লোকালয়ে গিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। সেদিন মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিল। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দের যাতে কোনরকম অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয় তার জন্য ওই হাতিটিকে নজরদারি করার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ ও বন দফতর।