Howrah Gold Recovery:প্রায় দেড় কোটি টাকার সোনা উদ্ধার হাওড়া স্টেশন থেকে
Arrest In Gold Recovery:বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হল হাওড়া স্টেশন থেকে। ঘটনায় এক জনকে আটক করে আয়কর বিভাগ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলের ওই ঘটনায় উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ ২ কিলোগ্রাম ৬৮০ গ্রাম। বাজারমূল্য় ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।
সুনীত হালদার, হাওড়া: বিপুল পরিমাণ সোনা (gold recovery) উদ্ধার হল হাওড়া স্টেশন (howrah Station) থেকে। ঘটনায় এক জনকে আটক করে আয়কর বিভাগ। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলের ওই ঘটনায় উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ ২ কিলোগ্রাম ৬৮০ গ্রাম। বাজারমূল্য় ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।
কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কালো ব্যাগ নিয়ে সন্দেহজনক ভাবে এক ব্য়ক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন আরপিএফ জওয়ানরা। আরপিএফ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির ব্যাগে তল্লাশি চালিয়েই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়। আরও জানা যায়, ওই সোনার কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। ওজন করলে দেখা যায়, ২ কেজি ৬৮০ গ্রাম সোনা রয়েছে, যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আটক ব্যক্তিকে হাওড়া জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে খবর। জানা গিয়েছে. ওই ব্যক্তির নাম বিভাস আদক। বয়স ৪২ বছর। বাড়ি হাওড়ার জয়পুরে। কিন্তু কী ভাবে অত সোনা তাঁর কাছে এল? কেন কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া এই বিপুল পরিমাণ সোনা তিনি সঙ্গে রেখেছিলেন? কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন সেগুলি? মূল লক্ষ্য কী ছিল? প্রশ্ন একাধিক। উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে এই ধরনের ঘটনা যে হাওড়া স্টেশনে অতীতে ঘটেছে, তা মনে করাচ্ছেন অনেকেই।
গত বছরের ঘটনা...
এই প্রসঙ্গে গত বছর মার্চ মাসের একটি ঘটনা স্মরণে এসেছে অনেকের। সে বার, হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এক ব্যক্তিকে কালো ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে সন্দেহ হয়েছিল আরপিএফের। ব্যাগ পরীক্ষা করতে প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না ও সোনার বাট উদ্ধার হয়। কার সোনা ? কোথায়ই বা হচ্ছিল পাচার ? প্রশ্নের জবাবে অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে আটক করে শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেয় আরপিএফ। আরপিএফ সূত্রে খবর, বর্তমানে ওই সোনার বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি পাঁচ হাজার টাকা। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় তাঁর নাম চন্দ্রভান মিশ্র, উত্তরপ্রদেশের মতিগঞ্জের বাসিন্দা। সূত্রের আরও খবর, ওই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না কার তা নিয়ে কোনও উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। আরপিএফের আরও দাবি, চন্দ্রভানের কথাবার্তায় যথেষ্ট অসঙ্গতিও ছিল। সব কিছুর পরই তাঁকে আটক করা হয়। খবর দেওয়া হয় কাস্টমস অফিসারদের। কাস্টমস অফিসাররা স্টেশনে এলে তাদের হাতে সোনার গয়না ও বাট ও ওই ব্যক্তিকে তুলে দেয় আরপিএফ।
আরও পড়ুন:সন্দেশখালিতে অ্যাকশনে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, 'কড়া ব্যবস্থা'র হুঁশিয়ারি