Haridevpur Update: হরিদেবপুরে যুবক খুনে ধুন্ধুমার, খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু পুলিশের
Haridevpur Murder Update: দশমীর রাতে বান্ধবীর সঙ্গে বেরিয়ে নিখোঁজ, মগরাহাটে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ। অবশেষে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ।
কলকাতা: হরিদেবপুরে (Haridevpur Murder Update) যুবক খুনে ধুন্ধুমার, অভিযুক্ত বান্ধবীর বাড়ি ভাঙচুর। দশমীর রাতে বান্ধবীর সঙ্গে বেরিয়ে নিখোঁজ, মগরাহাটে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ। অবশেষে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। নিহত অয়ন মণ্ডলের বান্ধবীর বাড়ি ভাঙচুর স্থানীয়দের। পুলিশ আগে কিছুই করেনি, অভিযোগ মৃতের পরিবারের। হরিদেবপুর থানা থেকে বলা হয় নিজেরা খুঁজে নিন, দাবি মৃতের পরিবারের। মৃতের পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে, জানালেন ডিসি সাউথ-ওয়েস্ট। অয়ন মণ্ডলের বান্ধবীর পরিবারের তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের।
যুবক খুনে ধুন্ধুমার: দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে আর ফেরেননি, তাঁরপর মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে। যুবক খুনের ঘটনায় ধুন্ধুমারকাণ্ড দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে। পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে থানায় বিক্ষোভ দেখালেন মৃতের পরিজনরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকেও রাস্তায় নামতে হয়। অবরোধ করা হল রাস্তা, ভাঙচুর করা হল মৃতের বান্ধবীর বাড়িতে। প্রথমে ইট ছুড়ে ভাঙচুর করা হয় দরজা-জানলা। ভেঙে ফেলা হয় বাড়ির সামনে রাখা CC ক্যামেরা। বাড়ির ভিতরে ঢুকেও চলে তাণ্ডব। এমনকী প্রতিবেশীর বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেশ খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ।
নিহতের নাম অয়ন মণ্ডল। পেশায় অ্যাপ নির্ভর বাইক চালক ছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, বুধবার দশমীতে বাড়ির কাছেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছিলেন অয়ন। তারপর কাছেই বান্ধবীর বাড়িতে যান তিনি। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। ছেলে ফিরে না আসায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিদেবপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। একদিন পেরিয়ে গেলেও ছেলের হদিশ না মেলায়, শুক্রবার লালবাজারে যান মৃতের বাড়ির লোকজন। তারপর সেখান থেকে জানানো হয়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাটে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের লোক নিশ্চিত করেন, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ তাঁদের বাড়ির ছেলেরই।
ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মগরাহাটে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু, পরিবারের লোক জানতে পারলেন শুক্রবার দুপুরের পর। এই সময়ের মাঝে হরিদেবপুর থানার পুলিশ কোনও তৎপরতাই দেখায়নি বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। মৃতের মা বলেন, “থানা থেকে কেউ এল না, জেরা করে ওদের ছেড়ে দিল। বলল মেয়েটার বাড়িতে কেউ যাবেন না। পুলিশ আসেনি, কারও টনক নড়েনি। ছেলেকে দশমীতে ফোন করেছিলাম, রিং হয়ে গেছে তোলেনি। তারপর থেকে টানা সুইচড অফ।’’
আরও পড়ুন: Dengue: পুজোর মরসুমে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গি, আতঙ্ক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান