Durgapur Bridge: নিউ আলিপুরে দুর্গাপুর ব্রিজে ভারী যান চলাচল বন্ধ, অগ্নিকাণ্ডের পর হবে ব্রিজের স্বাস্থ্য় পরীক্ষা
New Alipore Durgapur Bridge: গত ২১ ডিসেম্বর ভয়াবহ আগুন লেগেছিল নিউ আলিপুরের এই দুর্গাপুর ব্রিজের নীচের অংশ। বি পি পোদ্দার হাসপাতালের কাছে আগুন লাগে ঝুপড়িতে।
আবির দত্ত, কলকাতা : নিউ আলিপুরে দুর্গাপুর ব্রিজে ভারী যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হাইট বার। ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্রিজের সামনে লাগানো হয়েছে বোর্ডও। যাঁরা এখান দিয়ে চলাচল করেন তাঁরা যেন বোর্ড দেখতে পান, সেই জন্যই এগুলি রাখা হয়েছে। ব্রিজের নীচের ঝুপড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ব্রিজের স্বাস্থ্য় পরীক্ষার জন্য় এই উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে নগরোন্নয় দফতর এবং KMDA-র তরফে। বাঁশের পরিকাঠামো করা হয়েছে পুলিশের তরফে যা হাইট বার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বোর্ড লাগানো হয়েছে। যেখানে গাড়ি ১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় স্পিডে চালানোর কথা বলা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে গাড়ি চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের গার্ড রেলেও স্পষ্ট ভাবে লেখা রয়েছে দুর্গাপুর বিজে ভারী যান চলাচল নিষেধ। বাস বা পণ্যবাহী লরি চলছে না। ডিরোজিও সেতুতে এখনও যলছে না ভারী যানবাহন। আপাতত এই নিয়ম বহাল থাকবে বলেই জানা গিয়েছে।
গত ২১ ডিসেম্বর ভয়াবহ আগুন লেগেছিল নিউ আলিপুরের এই দুর্গাপুর ব্রিজের নীচের অংশ। বি পি পোদ্দার হাসপাতালের কাছে আগুন লাগে ঝুপড়িতে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। কিন্তু হাওয়া থাকার ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায় এলাকায়। কার্যত পুড়ে খাক হয়ে যায় ঝুপড়ির বাড়িগুলি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে দমকম বাহিনীর। নিউ আলিপুরে দুর্গাপুর ব্রিজের তলায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে শীতের রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্রচুর মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও। আগুন নিভলেও দুর্গাপুর ব্রিজের নীচে ইটের গাঁথনি দেওয়া ঘরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। যেদিন আগুন লাগে সেদিন ব্রিজের ওপর থেকে দু’পাশের ঘরগুলোর ওপর জল দিতে পারলেও, ব্রিজের একেবারে নীচের ঘরগুলোয় জল দিয়ে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের।
এই অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা আগেই বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল তোপসিয়ার বস্তি এলাকায়। প্রায় ২০০টি ঝুপড়ি চোখের নিমেষে পুড়ে যায়। আচমকাই আগুন লাগে একটি বহুতলের পাশের ঝুপড়িতে। বুঝতেও পারেননি প্রাথমিক ভাবে। কেউ ভাত রান্না করছিলেন। কেউ হয়তো নিচ্ছিলেন পরীক্ষার প্রস্তুতি। তপসিয়ার আগুন নিমেষে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে গৃহস্থালির জিনিস, টাকাকড়ি, সোনাদানা। মুহূর্তে শেষ হয়ে যায় সব কিছু। এই এলাকায় নতুন করে বসতি গড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খান। সরকারের তরফে আশ্বাস মিলেছে। কিন্তু তার আগে জীবন কীভাবে কাটবে, তা ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছেন না পুড়ে যাওয়া ঝুপড়ির বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- ধর্না চালাতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ চিকিৎসক সংগঠনকে মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের