(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Calcutta High Court:অনিয়মিত বেতন ECL-র স্কুলের শিক্ষকদের, চেয়ারম্যানকে ৬ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
ECL:কারও বেতন অনিয়মিত! কেউ আবার ১ বছর ধরে বেতন পাননি বলে অভিযোগ। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, ECL-এর সকুলের ৪৪ জন শিক্ষক তার শিক্ষিকা।তার প্রেক্ষিতে, ECL চেয়ারম্য়ানকে ১০ দিনের মধ্য়ে ৬ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: কারও বেতন অনিয়মিত! কেউ আবার ১ বছর ধরে বেতন পাননি বলে অভিযোগ। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন, ECL-এর সকুলের ৪৪ জন শিক্ষক তার শিক্ষিকা। তার প্রেক্ষিতে, ECL চেয়ারম্য়ানকে ১০ দিনের মধ্য়ে ৬ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের (Justice Abhijit Ganguly) মন্তব্য়, চালাতে না পারলে, রাজ্য় সরকারের হাতে স্কুলগুলো দিয়ে দিক ECL.
প্রেক্ষাপট...
ইস্টার্ন কোলফিল্ডের অধীনে ঝাড়খণ্ডে ৯টি ও পশ্চিমবঙ্গে ৭টি বিদ্য়ালয় আছে। সেখানকার বেতন কাঠামো অনুযায়ী, বি.এড ডিগ্রি রয়েছে যাঁদের, সেই শিক্ষক শিক্ষিকারা মাসে পান ৭০০০ টাকা। স্নাতক শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে ৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং তার নিচের শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকরা মাসে পান ৫০০০ টাকা। অভিযোগ, নিজেদের খেয়ালখুশি মতো বেতন দিচ্ছে ECL। কারও ১ বছরের উপর বেতন বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয় গুলিতেও কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না বলে দাবি শিক্ষকদের। এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হন ৪৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। এই মামলার প্রেক্ষিতে, মঙ্গলবার, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় নির্দেশ দেন, ১০ দিনের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ৬ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে ইস্টার্ন কোলফিল্ডের চেয়ারম্যান তথা জেনারেল ম্যানেজারকে। ECL-এর নিয়ন্ত্রণাধীন বিদ্যালয়গুলিতে কতজন শিক্ষক শিক্ষিকার বেতন বকেয়া রয়েছে, মোট বকেয়া বেতনের পরিমাণ কত, তা দুদিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, এদিনই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত ২টি মামলা গেল বিচারপতি অমৃতা সিন্হার বেঞ্চে। সৌমেন নন্দী এবং রমেশ মালিকের দায়ের করা মামলা গেল বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা সরালেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত ২টি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া সাক্ষাৎকারের তর্জমার সত্যতা বিচার করে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমবার হাইকোর্টে উঠেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে বলেছিলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-কুন্তল ঘোষকে খুব দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত সিবিআইয়ের'। এরপরই ১৩ এপ্রিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সেই মোতাবেক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেদিন এবিপি আনন্দে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ ওঠে সুপ্রিম কোর্টে।১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২-এ এবিপি আনন্দের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারের একটি ৪ পাতার তর্জমা সেদিন কোর্টে পেশ করেন অভিষেকের আইনজীবী। এরপরই এবিপি আনন্দকে সাক্ষাৎকার নিয়ে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয় আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, সেই সাক্ষাৎকারে বিচারপতির বক্তব্য এবং মন্তব্য নিয়ে গোটা বিষয়টি তিনি জানাতে চান। সেই সাক্ষাৎকারের তর্জমার সত্যতা বিচার করেই প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত ২টি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের কাছ থেকে সরানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন:প্রবল গ্রীষ্ম বাড়ায় অ্যাজ়মার প্রবণতা, তীব্র হয় কষ্ট, কীভাবে বাঁচবেন