Higher Secondary: উচ্চমাধ্যমিকের চতুর্থ সেমিস্টারের প্রশ্নপত্র পড়ার জন্য দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ১০ মিনিট
HS Fourth Semester: এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষের পর ৩৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হয়েছিল ফল। উচ্চ মাধ্যমিকের থার্ড সিমেস্টারে পাসের হার ৯৩.৭২ শতাংশ।

কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র পড়ার জন্য অতিরিক্ত ১০ মিনিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ১২ ফেব্রুয়ারি উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সিমেস্টার শুরু হতে চলেছে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টার পর্যন্ত হবে পরীক্ষা। কিন্তু তার ১০ মিনিট আগেই, অর্থাৎ সকাল ৯.৫০-এ প্রশ্নপত্র পাবেন পরীক্ষার্থীরা। তৃতীয় সিমেস্টারের পর অতিরিক্ত সময়ের দাবি উঠেছিল। অবশেষে চতুর্থ সিমেস্টারে প্রশ্নপত্র পড়ার অতিরিক্ত সময় দেওয়া হল। বুধবার এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষের পর ৩৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হয়েছিল ফল। উচ্চ মাধ্যমিকের থার্ড সিমেস্টারে পাসের হার ৯৩.৭২ শতাংশ। পাসের হার ছিল সর্বোচ্চ স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পাসের হারে দ্বাদশ স্থানে কলকাতা। বিজ্ঞান শাখায় পাসের হার ৯৮.৮০ শতাংশ। ৪১.১৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করেছে। ১০ শতাংশের কিছু বেশি পরীক্ষার্থী ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে। প্রথম দশে ছিলেন ৬৯ জন পরীক্ষার্থী, যাদের মধ্যে ৩ জন ছাত্রী।
উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে দুই জন। ৯৮.৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে মেধাতালিকার শীর্ষে প্রীতম বল্লভ ও আদিত্য নারায়ণ জানা। দু'জনেই পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ছাত্র। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত স্কুল। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কৃতী এই দুই ছাত্রের একজনের প্রতিক্রিয়া, "খুবই আনন্দ হচ্ছে। খুবই খুশি। তবে, প্রথম হব ভাবিনি। পরীক্ষা খুবই ভাল হয়েছিল। আমার, আমার বন্ধুদের সবার পরীক্ষা ভাল হয়েছিল।"
উচ্চমাধ্য়মিকের তৃতীয় সেমিস্টারে নজরকাড়া সাফল্য ছিল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ও পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের। মেধাতালিকার ৬৯ জনের মধ্যে ৫৫ জনই এই দুই স্কুলের ছাত্র। যাদের সাফল্যের কথা আলাদা করে উঠে এসেছিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের গলাতেও। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বলেছিলেন, "দু'টি মাত্র স্কুল থেকে এত ভাল রেজাল্ট করেছে। তার মূল কারণ, তারা অনেক বেশি প্র্যাক্টিস করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য। দু'টি মাত্র স্কুল থেকে এত ভাল রেজাল্ট করার মূল কারণ হচ্ছে, WBJEE, JEEMains, JEE Advance, NEET ইত্যাদির জন্য তারা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়। প্রস্তুত করানো হয়। তার জন্যই আজ পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন...থেকে এতগুলো ব়্যাঙ্ক করছে। ৬৯-এর মধ্যে ৫৫ জনই হয়েছে এই দু'টি মাত্র রামকৃষ্ণ মিশন থেকে। তাদের অ্যাডভান্টেজ হয়ে গেছে, তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিটা নিয়েছিল। কিন্তু, এই জিনিসটার কিছুটা পরিবর্তন হবে চতুর্থ সিমেস্টারে। যখন ওভারঅল রেজাল্ট বেরোবে। তখন কিন্তু ডেসক্রিপটিভ পার্ট থাকবে। যেটা কিন্তু WBJEE বা JEEMains-এর প্রস্তুতি দিয়ে হবে না।"






















