Hiran Chatterjee : ' আপনি যাবেন? ওই চোরচোরটার দলে? ' একান্ত সাক্ষাৎকারে নানা বিষয়ে বিস্ফোরক হিরণ
Hiran Chatterjee Interview : হিরণ জানালেন, ' কেউ ফোটোশপ ব্যবহার করে কোনও ছবি বানাতেই পারে।
কলকাতা : ' পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস মানে চোর চোর চোর। তৃণমূল ( TMC ) মানে দুর্নীতি, তৃণমূল মানে অপশাসন, তৃণমূল মানে চক্রান্ত ' , কেন এই দলে কেউ যাবে ? দলবদল প্রসঙ্গে সপাট জবাব হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির ( Ajit Maity ) সঙ্গে ভাইরাল হওয়া এই ছবি ঘিরেই যত জল্পনা। সেই গুঞ্জন সোজাসুজি উড়িয়ে দিলেন বিধায়ক হিরণ ( Hiran Chatterjeee ) ।
এবিপি আনন্দ-র প্রতিনিধিকে হিরণ জানালেন, ' কেউ ফোটোশপ ব্যবহার করে কোনও ছবি বানাতেই পারে। এখন আমিও বলতে পারি, আমি আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নৈশভোজ করে এসেছি। হ্যান্ডশেক করছি, এমন ছবি বানিয়ে নেওয়াও যেতে পারে। '
উল্টে তিনি কৌতূক করে প্রশ্ন করেন, ' আমিও তো বলতে পারি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলতে পাঠিয়েছেন ? আমিও তো বলতে পারে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বলেছিল আমি মুখ্যমন্ত্রী হব, তোমাদের ৭০ আছে, আমি ১০০ জন বিধায়ক নিয়ে আসছি, আমি তো এটাও দাবি করতে পারি।'
আরও পড়ুন :
Hiran On Dev : 'এনামুলের থেকে টাকা নিয়েছে' দেব নিয়ে বিস্ফোরক হিরণ, মিঠুনকে নিয়ে 'দুশ্চিন্তা'
একসময় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি ছিলেন হিরণ। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেও তাঁকে অতীতে দেখা গেছে।
কিন্তু, ধীরে ধীরে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। এরপর ২০২১-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় অমিত শাহর সভায় বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। পরবর্তীকালে বিজেপির টিকিটে ভোটে জিতে খড়গপুরের বিধায়ক হন।হিরণের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, তিনি নাকি টিকিটের জন্যই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসেন।
হিরণের জবাব, ' আমি অনেক আগে তৃণমূল ছেড়েছি। তখন তো টিকিট দেওয়া শুরু হয়নি।' সেই সঙ্গে তিনি বলেন, তিনি এখনও ভাড়া বাড়িতে থাকেন। 'কলকাতার বিলাস' ছেড়ে তিনি খড়গপুরের মানুষের কাছে পড়ে রয়েছেন। সেই সঙ্গে হিরণ মনে করিয়ে দেন, তিনি বরাবর খড়গপুরের মানুষের পাশে ছিলেন, করোনার সময়ই হোক বা বন্যার সময়ই হোক। '
ABP Ananda r sange Exclusive সাক্ষাৎকারে দেব ও মিঠুনকে নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন হিরণ। তিনি বলেন, ' ইডিতে লুকিয়ে লুকিয়ে গেছিলেন। সিবিআইতে গেলেন। লিফটে করে উঠছেন, ঢুকছেন। তারপর তো দেখলাম খবর। গোপন সূত্রে খবর পেলাম, ৫ কোটি টাকা উনি ওনার অ্যাকাউন্টে নিয়েছেন। যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে হয়ত মিঠুনদাকে টাকা ফেরত দিতে হতে পারে।'
সব মিলিয়ে হিরণের ভাইরাল ছবি নিয়ে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি।