(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Hooghly: হুগলিতে তৃণমূল কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ ১৭ জনের চাকরি, অভিযোগ সুকান্তর
Job Scam: হুগলি থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: চুঁচুড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবার-ঘনিষ্ঠদের ১৭ জনের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়ের মাঝেই এমন অভিযোগে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কী অভিযোগ:
বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগের মধ্যেই এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে বিজেপি। হুগলিতে তৃণমূল কাউন্সিলর-ঘনিষ্ঠ ১৭ জনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাকরিতে বেলাগাম দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি চুঁচুড়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সরস্বতী পালের। তাঁর দাবি, যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে দল করেছেন, তাঁদের কয়েকজনকে কাজ দেওয়া হয়েছে। নির্মল বন্ধু হিসেবে এক আত্মীয়ের চাকরি পাওয়ার মেনেও অভিযোগ খারিজ তৃণমূল কাউন্সিলরের।
হুগলি থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগে হুগলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষকে। তার কয়েকদিন পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই দুজনেই তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এর মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উঠে এসেছে শান্তনু-কুন্তলের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেনের কথা। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির হদিশও মিলেছে। তদন্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উঠে এসেছে টলিউড-যোগের কথা। টলিউডের প্রথমসারির অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত গাড়ি কেনার জন্য টাকা নিয়েছিলেন কুন্তলের কাছ থেকে, সিনেমার করার পারিশ্রমিক হিসেবেই সেই টাকা পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি। পরে সেই টাকা ফেরত দেন তিনি। টাকা ফেরত দেন সোমা চক্রবর্তী নামে আরেক মহিলাও। তিনিও টাকা পেয়েছিলেন বলে সামনে এসেছিল। পরে ওই দুজনকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। একদিকে যখন হুগলি থেকেই নিয়োগ-দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগে দুই তৃণমূল নেতাকে ধরা হয়েছে। তখনই চুঁচুড়ার এক কাউন্সিলরের পরিবারের ঘনিষ্ঠ ১৭ জনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও এক নেতার নাম:
টাকার বিনিময়ে স্কুলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে, হুগলিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেটওয়ার্কের কথা আগেই সামনে এসেছে। এবার সামনে এল হুগলি জেলা পরিষদের আরেক কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা গোপাল রায়ের নাম। চাকরি পেতে তাঁকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে, দাবি করলেন চাকরিচ্যুতের পরিবার। তাঁর অজান্তেই শান্তনু কাগজে সই করিয়েছিলেন। দাবি করলেন তৃণমূল কর্মী রাকেশ।
আরও পড়ুন: 'জমি দেখুন্তি, পছন্দন্তি', পুরীতে জমি দেখে বললেন মমতা