Hooghly: শ্রীরামপুরে বসন্ত উৎসব ঘিরে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ, মারধর, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ
Basanta Utsav: বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে শ্রীরামপুরে তুলকালাম। ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে মারধর, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ। প্রতিবাদে পুলিশকে ঘিরে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ, অবরোধ।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর: বসন্ত উৎসবকে (Basanta Utsav) কেন্দ্র করে হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুরে (Serampore) তুলকালাম। শ্রীরামপুর স্টেশনের কাছে কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বসন্ত উৎসব ঘিরে ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ, এলাকায় তাণ্ডব। ছাত্রদের একাংশের বিরুদ্ধে মারধর, দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ। প্রতিবাদে পুলিশকে (Cops) ঘিরে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ, অবরোধ। বহিরাগত তাণ্ডবের পাল্টা অভিযোগ ছাত্রদের। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।
এদিকে, নেশার টাকা দিতে অস্বীকার করায় মত্ত অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্স চালককে মারধরের অভিযোগ উঠল দুই হোমগার্ডের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ার মিত্রবাগান এলাকায়।
অ্যাম্বুল্যান্স চালক বিজু মণ্ডলের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে, মত্ত অবস্থায় রাস্তা আটকে চুঁচুড়া থানার দুই হোমগার্ড আকিব জাভেদ ও পার্থ পাসোয়ান তাঁর কাছে মদ খাওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারধর করা হয়। অ্যাম্বুল্যান্সও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার ভদ্রেশ্বরের ইউকো ব্যাঙ্কের ম্যানেজার
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান দুই হোমগার্ড। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। রাজু মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, ‘ওরা থানায় কাজ করে। তাই বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পায়। কেউ কিছু বলতে পারে না।’
অভিযুক্ত হোমগার্ড পার্থ পাসোয়ানকে পুলিশ আটক করেছে। অভিযুক্ত অপর এক হোমগার্ড আকিব জাভেদ পলাতক। ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চায়নি তাঁর পরিবার।
চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, হুগলির তারকেশ্বর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপুরে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে এক তৃণমূূল কর্মীর কান কামড়ে ছিঁড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কানের নিচের অংশ জোড়া লাগাতে জখম তৃণমূল কর্মীকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভদীপ রায় নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। পারিবারিক বিবাদ মেটানোর জন্য ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানো হয়। অশান্তি চরমে উঠলে বিবাদ মেটাতে যান স্থানীয় কাউন্সিলর প্রদীপ সাহা সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। সেই সময়ই মহাদেব দিগর নামে এক তৃণমূলকর্মী বিবাদ থামাতে গেলে তাঁর কান কামড়ে ছিঁড়ে নেন অভিযুক্ত শুভদীপ।