Hooghly News: খানাখন্দে ভর্তি রাস্তা, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ, সংস্কারে উদ্যোগী অটোচালকরা
Bad Road: চন্ডীতলা ১নং ব্লকের মশাট পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বনমালিপুর চৌমাথা থেকে মশাট কদমতলা পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২.৫ কিলোমিটার রাস্তার সিংহভাগই খানা খন্দে ভরা।
সোমনাথ মিত্র, হুগলি: খানাখন্দে ভর্তি রাস্তা (Bad Road), সংস্কার শুরু হওয়ার পরও থমকে কাজ। এবার রাস্তা সংস্কারে (Road Repair) উদ্যোগী হলেন অটো চালকরা। রাস্তার বেহাল দশার কথা স্বীকার করেছেন চন্ডীতলা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তাঁর দাবি, PHE ও জেলা পরিষদের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থার টানাপোড়েনে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েও থমকে আছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।
রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী: চন্ডীতলা ১নং ব্লকের মশাট পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বনমালিপুর চৌমাথা থেকে মশাট কদমতলা পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২.৫ কিলোমিটার রাস্তার সিংহভাগই খানা খন্দে ভরা। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে অসুবিধায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃষ্টি হলে ভোগান্তি চরমে ওঠে। এই রুটে প্রায় ৪০টি অটো যাতায়াত করে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদেরও। রাস্তায় অতিরিক্ত খানাখন্দ থাকার কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশে ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ অটো চালকদের। ফলে একদিকে যেমন গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাড়ছে তেমনি রাস্তা খারাপ থাকার কারণে কমছে যাত্রী সংখ্যা। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। তাই পুজোর আগে বাধ্য হয়েই খানা খন্দ ভরাট করছেন অটো চালকরা।
জানা গিয়েছে, রাস্তার বেহাল দশার কারণে পথশ্রী রাস্তাশ্রী প্রকল্পে বনমালিপুর চৌমাথা থেকে মশাট কদমতলা হয়ে ভগবতীপুর সিংহজোড় পর্যন্ত প্রায় ৭.৮ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার শুরু হয় মার্চ মাসে। কিন্তু চন্ডীতলা ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মলয় খাঁ-এর দাবি, বনমালীপুর থেকে মশাট কদমতলা পর্যন্ত PHE র বাড়ি বাড়ি জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ফলে রাস্তা সংস্কার নিয়ে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যারা রাস্তা সংস্কারের বরাত পেয়েছে তাঁরা। এই অংশের কাজ করতে অস্বীকার করেন মাটি নরম থাকার কারণে। সেই নিয়েই তৈরি হয়েছে সমস্যা, ফলে রাস্তা সংস্কারের কাজ থমকে যায়। পুজোর মুখে যাত্রী ভাটার কারণে নিজেরাই রাস্তা সারাইয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। আজ অটোচালকরা অটো করে মালপত্র এনে রাস্তার বড় বড় খানা খন্দ ভরাট করেন।
অটোচালক সুরজিৎ দাস বলেন, “এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। আমাদের যাতায়াতের অসুবিধার কারণেই আমরা এই উদ্যোগ নিতে আজ বাধ্য হয়েছি। আরেক অটো চালক অনিল কর্মকার বলেন, “রাস্তার খারাপ অবস্থায় রোজই গাড়ির কিছু না কিছু ক্ষতি হচ্ছে। মেরামতি করতে রোজই অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। অন্যদিকে রাস্তা খারাপের জন্য যাত্রীও কমেছে অনেক। পুজোর আগে যদি সরকার থেকে পুরোপুরি রাস্তাটি ঠিক করে দেয় তাহলে আমাদের খুব ভালো হবে।’’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মলয় খাঁ জানিয়েছেন, “রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনকেও ব্যাপারে চিঠি লিখে পুজোর আগে রাস্তাটি দ্রুত মেরামতি করার জন্য বলা হয়েছে।’ যদিও এই ঘটনা রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মোহন আদক জানান, “রাস্তা তৈরিতে শুধুমাত্র কাটমানি খাওয়ার জন্য দুটো সরকারি দফতর হাত তুলে বসে আছে আর ভোগান্তি হচ্ছে মানুষের। আর অটোচালকেরা নিজেদের পয়সা খরচা করে রাস্তা মেরামত করছে, এটা লজ্জার। রাস্তা দ্রুত তৈরির জন্য ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’’
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার অভিষেকের বাবা-মাকে ইডির তলব: সূত্র