Hooghly Death : হুগলির সিঙ্গুরে নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে মৃত্যু দুই শ্রমিকের
Worker Death : সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা বন্ধ থাকায় কোনও বিষাক্ত গ্যাস সেখানে তৈরি হয়েছিল বলেই আশঙ্কার দমকলের।
সোমনাথ মিত্র, হুগলি : হুগলির সিঙ্গুরে নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রতনপুরে। সেপটিক
ট্যাঙ্ক তৈরি হয়েছিল কয়েকমাস আগে। এদিন বাঁশের ভারা খুলতে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে নামেন গণেশ মান্না (৪০) ও সুব্রত দাস (৪০) নামে দুই শ্রমিক। পরে দমকল কর্মীরা এসে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে । গণেশের বাড়ি সিঙ্গুরে, সুব্রত ধনেখালির বাসিন্দা। বিষাক্ত গ্যাসেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে দমকলের অনুমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল ৭ টা নাগাদ সিঙ্গুরের রতনপুর এলাকায় এক নির্মীয়মান সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে আসেন দুই শ্রমিক। ২ মাস আগে তৈরী হওয়া নতুন সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা খুলে কাঠের ভাড়া খুলতে প্রথমে ভিতরে নামে এক শ্রমিক। সেই শ্রমিকের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ডাকাডাকিতে প্রচুর লোক জমা হয়। তখন দ্বিতীয় শ্রমিকটিও নিচে নামেন। কিন্তু ভিতরে দুজনই অচৈতন্য হয়ে পড়েন। খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশকে। চাঁপদানি থেকে একটি দমকলের গাড়ি এসে পৌঁছায়। দমকলকর্মীরা সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে দুটি শ্রমিককে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় দুই শ্রমিককে।
চাপঁদানি দমকল বিভাগের ওসি মলয় মজুমদার বলেন, একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে নেমে দু'জন অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছে খবর পাওয়াj পরেই ছুটে এসে দুজনকে উদ্ধার করি। সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢাকনা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে সম্ভবত ভিতরে মিথেন বা অন্যান্য গ্যাস তৈরি হয়েছিল, সেই কারনেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন- পরিবার সিপিএম করায় শাস্তি ! সালারে বোমাবিদ্ধ ১২ বছরের শিশু
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন