Hooghly: চুঁচুড়ায় তর্পণ লকেটের, শেওড়াফুলিতে তর্পণ সারলেন বেচারাম
হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় চুঁচুড়ার জোড়া ঘাটে গঙ্গায় তর্পণ করেন।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: মহালয়ার দিনে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় চুঁচুড়ার জোড়া ঘাটে গঙ্গায় তর্পণ করেন। এদিন বিজেপি নেত্রীর সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মীরা। বুধবার চুঁচুড়ার জোড়াঘাটে তর্পণ করেন লকেট।
তর্পণ সেরে সংবাদমাধ্যমের সামনে লকেট বলেন, ‘‘বিধানসভায় আমরা ২ কোটি ২৮ লক্ষ ভোট পেয়েছি। বিধায়কের সংখ্যা তিন থেকে ৭৭-এ পৌঁছেছে। এটা তো আমাদের সাফল্য। আমরা মহিলাদের অধিকার নিয়ে লড়াই করেছি। মানুষ সেটা বুঝতে পেরেছেন। আগামী দিনেও আমরা এই লড়াই করব। তাই যাঁরা শুধুমাত্র লাভের জন্য বিজেপি-তে এসেছিলেন তাঁরা যত তাড়াতাড়ি দল ছাড়বেন ততই মঙ্গল।’’
সম্প্রতি ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে না যাওয়ার জন্য লকেটকে টুইট করে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তার পরেই জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি বাবুল সুপ্রিয়র পরে লকেটও দল বদলাবেন। যদিও মহালয়ার দিনে লকেটের এই বার্তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সিঙ্গুরের বিধায়ক মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও তার স্ত্রী হরিপালের বিধায়ক করবি মান্না শেওড়াফুলি গঙ্গার ঘাটে তর্পণ করলেন এদিন।
এদিকে, মহালয়ার তর্পণ ঘিরেও রাজনৈতিক তরজা। বাঁকুড়ায় একে অন্যের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল তৃণমূল ও বিজেপি। এদিন মহালয়া উপলক্ষে রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় নিহত তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে দ্বারকেশ্বরের ঘাটে তর্পণ করেন বাঁকুড়া তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা। এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। সামনে পুরভোট, তাই মহালয়ার তর্পণ নিয়েও রাজনীতি করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল, দাবি গেরুয়া শিবিরের।